মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার ৭টি উপায়

আপনি কি স্টুডেন্ট? পড়াশোনার পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চাচ্ছেন! তাহলে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে আপনার জন্য উত্তম মাধ্যম। অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কিভাবে সহজে ইনকাম করা যায় সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ছোট ছোট কাজ করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং বন্ধু-বান্ধবের আড্ডা মহলে টাকা খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। তাই মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি ইনকামের একটা মাধ্যম তৈরি করতে পারেন। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং ইনশাল্লাহ ইনকাম করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং

ভূমিকা

আপনি কি ডিসিশন হীনতায় ভুগছেন? কি ধরনের কোর্স করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? আপনার হাতে যদি ছয় মাস সময় থাকে এবং আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন। তাহলে আমি বলব চোখ বন্ধ করে শুরু করে দিন মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং কোম্পানির প্রচার ও পণ্য বিক্রয়ের স্বার্থে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই।
তাই প্রতিনিয়ত দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।আজকের এই আর্টিকেলে ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন? কোথায় শিখবেন এবং শিখতে আপনার কত দিন সময় লাগবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন সেক্টর গুলো তুলনামূলক সহজ এবং কঠিন হবে অথবা কোন কোন কাজগুলা করে খুব সহজেই ইনকাম করা যায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং

৯০ এর দশকে মানুষ পেপার, পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতো যা ছিল অনেক কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে খুব সহজেই অল্পসময়ে ও অল্প খরচে করতে পারেন আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে।
তাই বর্তমান যুগে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook, X (Twitter),YouTube, Instagram, TikTok ইত্যাদিকে কাজে লাগিয়ে যে মার্কেটিং করা হয় তাকেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। যেকোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের কাঙ্ক্ষিত কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে খুব সহজ একটা মাধ্যম হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং।যেহেতু বর্তমানে বেশিরভাগ লোকজন স্মার্ট ফোন বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করে থাকে।

তাই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসগুলো মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে খুব সহজেই কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। চলুন এবার আমরা এমন কিছু কাজ আলোচনা করি, যেগুলা আপনি মোবাইল দিয়ে কাজ করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

কেমন হয় যদি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ইনকাম করা যায় আর তার সহজ একটা মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই কাজটা করার জন্য আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজ বা যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া যেমন Facebook, TikTok, YouTubeন, Instagram ইত্যাদিকে কাজে লাগিয়ে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। চলুন জেনে নিই, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? ধরুন, কোন একটা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের কিছু পণ্য রয়েছে যেগুলো আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের পণ্যগুলো বিক্রয় করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন নিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,Chapaiit.com একটি অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান এবং এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স। এবং সেই কোর্সগুলি যেকোনো শিক্ষার্থী আপনার মাধ্যমে বা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ক্রয় করলে, সেখান থেকে নির্দিষ্ট কমিশন এর ওপর ভিত্তি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং করে আয়

আপনি যদি বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ঘরে বসে খুব সহজেই আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী হতে হবে। বর্তমানে আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ওয়েবসাইট বানিয়ে থাকেন তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য।
সেই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের পোস্ট ক্রিয়েট ইত্যাদি করার জন্য একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার কোম্পানিগুলো হায়ার করে থাকেন। আপনি যদি একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে মাসে খুব সহজেই ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মার্কেট প্লেস রয়েছে যেমন Freelancer.com, Upwork.com, Fiver.com ইত্যাদি যেখান থেকে আপনি ক্লাইন্ট খুঁজে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে দেওয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

CPA মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়

CPA পূর্ণরূপ হচ্ছে Cost Per Action। সিপিএ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকটাই সেম তবে কিছু পার্থক্য রয়েছে । চলুন পার্থক্যটা একটু দেখি, এফিলিয়েট মার্কেটিংটা হচ্ছে আপনি কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি করে নির্দিষ্ট একটা কমিশন ভিত্তিক আয় করছেন এবং অন্যদিকে সিপিএ মার্কেটিং টা হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু ছোট ছোট কাজ কর খুব সহজেই আয় করা।

যেমন মেইল কালেকশন, ফোন নাম্বার কালেকশন এবং অ্যাপ ডাউনলোড ইত্যাদি। যেহেতু এখানে পণ্য বিক্রি করার কোন ঝামেলা নেই। সেহেতু নতুনদের জন্য সিপিএ মার্কেটিং করে আয় খুব সহজে একটা বেস্ট মাধ্যম হতে পারে। সুতরাং নতুন যারা আছেন মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তারা নিঃসন্দেহে শুরু করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি শাখা আছে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। যদিও বাংলাদেশে এর ব্যবহার অনেক কম কিন্তু বাইরের দেশে এর ব্যবহার অনেক বেশি। আপনি ইনস্টাগ্রাম একইভাবে ,ফেসবুকের মত ব্যবহার করে ছবি, ভিডিও এবং শর্ট রিলস ভিডিও ইত্যাদি পোস্ট করেও আপনার ফলোয়ার বাড়াতে পারেন।

বর্তমানে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের কোম্পানির প্রচার-প্রচারণা এবং পণ্য বিক্রয়ের জন্য ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং ব্যবহার করে থাকেন। সময়ের সাথে সাথে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এক্সপার্টদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সুতরাং ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মাসে সর্বনিম্ন পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

কাস্টমার সাপোর্টে কাজ করে আয়

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার আরেকটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে কাস্টমার সাপোর্টে কাজ করে আয় করা। অনেক বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের কোম্পানির সাপোর্টের জন্য লোক হায়ার করে থাকেন। এখানে মূলত কয়েক ধরনের কাজ হয়ে থাকে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং কাস্টমাররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের মেসেজিং ও প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন কিছু জানতে চাই সে সম্পর্কে রিপ্লাই করার জন্যই অনেক সময় লোক হায়ার করে থাকে।

মোবাইল ফোনে কথা বলে সাপোর্ট দেওয়া: মোবাইল ফোনে কথা বলে কাস্টমারদের বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দেওয়া হয়। যেমন কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো । কাস্টমাররা কোম্পানিতে ফোন দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের বা কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে বা তাদের সুবিধা অসুবিধা কি সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা।

এইজন্য আপনাকে সেই কোম্পানি এবং কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। এর সাথে সাথে আপনার ভাষাগত দক্ষতা ব্যবহার ও আচরণভঙ্গি ইত্যাদি ভালো থাকতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই কাস্টমার সাপোর্টের কাজ করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

ট্রান্সলেট করে আয়

ট্রান্সলেট বলতে আমরা মূলত বুঝি একটি ভাষা থেকে অন্য আরেকটি ভাষায় রূপান্তর করা। এইটা আপনি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেকাজ করে মাসে ভালো একটা টাকা ইনকাম করতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে এই কাজের চাহিদা অনেক বেড়েই চলেছে । আপনি যদি বেশ কয়েকটা ভাষায় দক্ষ হতে পারেন যেমন জাপানিজ, কোরিয়ান, চাইনিজ, ইংরেজি, স্প্যানিশ, রুশ, ইত্যাদি ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন,

তাহলে আমি বলব ট্রান্সলেট করে আয় আপনার জন্য বেস্ট একটা মাধ্যম হতে পারে কেননা সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি যেমন উন্নত হচ্ছে তেমনি কোম্পানির সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সুতরাং এই কাজের চাহিদা ও বেড়েই চলেছে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি,

বাংলাদেশের কোন একটা কোম্পানি চাইনিজ কোন কোম্পানির সাথে কাজ করতে চাইলে প্রথমত যে সমস্যাটার সম্মুখীন হয় সেটা হচ্ছে ভাষাগত। এখানে আপনি ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করে বেশ হ্যান্ডসাম একটা স্যালারি আয় করতে পারেন।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়

দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পেশার এবং বিভিন্ন শখের মানুষ দেখে থাকি আর যদি আপনার শখ ফটোগ্রাফি হয়ে থাকে তাহলে তো কোন কথা হবে না। ফটোগ্রাফি যদি আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে আমি বলব আপনার এই শখকে কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় ।

যেটা আপনি খুব সহজেই আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারবেন। ফটো সেল করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেখানে আপনি ফটো বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় অনেকেই অনেক পদ্ধতি বলবে। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সেই পদ্ধতি গুলো নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব। কোথায় শিখবেন? কিভাবে শিখবেন ইত্যাদি। এই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়লে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সম্পর্কে সকল তথ্যই জেনে যাবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অনেক পদ্ধতি থাকলেও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকারী দুইটা উপায় নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব।
প্রথমত আপনি নিজে নিজে শিখতে পারেন দ্বিতীয়ত কোন কোর্সে ভর্তি হয়ে বা অভিজ্ঞ কোন ডিজিটাল মার্কেটারের সাহায্যে শিখতে পারেন। প্রথমত নিজে নিজে শিখতে হলে আপনাকে প্রচন্ড রকমের পরিশ্রমী ও ধৈর্যশীল হতে হবে। কেননা এইখানে নিজে নিজে শিখতে গেলে কেউ সাপোর্ট দেওয়ার থাকে না। নিজের সমস্যাগুলোর সমাধান নিজেই করতে হয়।

আচ্ছা তাহলে এইবার শুরু করা যাক কিভাবে নিজে নিজে শিখতে পারেন। প্রথমত আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় থেকে শিখবেন? কিভাবে শুরু করবেন কতদিন লাগব? এইটার ক্যারিয়ার কি? এই ধরনের যে প্রশ্ন গুলো আছে এইগুলা আপনি আপনার নোটপ্যাডে সেভ করে নিবেন। এরপর আপনি এই প্রশ্নগুলো দিয়ে গুগলে সার্চ করবেন এবং প্রথম থেকে দুইটা বা তিনটা আর্টিকেল পড়ে নিবেন।

এই থেকে আপনি ভালো একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি ফ্রি এবং অল্প কিছু টাকা দিয়ে তাদের কোর্সগুলো কিনে করতে পারেন। তাছাড়া আরও সহজে এবং জনপ্রিয় একটা প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রি টিউটোরিয়াল পাবেন সেগুলো দেখেও শিখতে পারেন।

দ্বিতীয় বিষয়টা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক, সেটা হচ্ছে কোন কোর্সে ভর্তি হয়ে শেখার পদ্ধতি। এই জন্য আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে কেননা বর্তমানে প্রতারণা বেড়েই চলেছে। অনেকেই টাকা নিয়ে কাজ না শিখিয়ে বাটপারি করছে। এইজন্য আপনাকে ভালো কোন আইটি ফার্ম বা অভিজ্ঞ মেন্টরের কাছে এডমিশন নিতে হবে।

খুব সতর্ক ও সাবধানতার সাথে ভালো আইটি ফার্ম এবং দক্ষ মেন্টরকে নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের প্রাক্তন স্টুডেন্টদের সাথে কথা বলে বা তাদের সাকসেস রেট দেখে এডমিশন নিতে পারেন। এতে আপনি কোন সমস্যায় পড়লে আপনি সেই মেন্টরের সাহায্যে নিয়ে সমাধান করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে কতটুকু সময় দিচ্ছেন, কিভাবে শিখছেন, কতটুকু মনোযোগের সহিত কাজ করছেন তার উপর। তবে আপনি যদি দৈনিক 6 থেকে 8 ঘন্টা সময় দিতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই কাজ চলাকালীন সময়েই ইনকাম করতে পারবেন। তবে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এক থেকে দুই বছর সময় দিতে হবে।

শেষ কথাঃ মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং

যদি আপনি অনলাইনে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান এবং বাসায় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট একটা অপশন। অযথা Facebook, YouTube, TikTok বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডাবাজি না করে আপনার মূল্যবান সময়কে কাজে লাগিয়ে এই মুহূর্তে শুরু করতে পারেন মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং।
আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে কোথাও কোন সমস্যা হলে আর্টিকেলটি পুনরায় মনোযোগের সাথে পড়ুন। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। সেই সাথে আপনার মূল্যবান মতামতটি নিচের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url