ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে এর মধ্যেও কিছু রয়েছে হাই ডিমান্ডেবল সেক্টর যা আপনার জানা আবশ্যক।ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সর্বপ্রথম আপনার যে বিষয়টি জানা দরকার সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জনের পূর্বে যদি জেনে যান কোন কাজটি হাই ডিমান্ড ডেবল তাহলে আপনি সেই সেক্টরের উপর নিজেকে আস্তে আস্তে ডেভেলপ করে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
এই আর্টিকেলে আরো জানতে পারবেন যারা মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন বা মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে চাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সে সকল বিষয়, এছাড়া এছাড়া আরো জানতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কিভাবে ইনকাম করা যায় এবং এর চাহিদা কেমন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর চাহিদা কেমন আরো জানতে পারবেন আর্টিকেল রাইটার এর চাহিদা কেমন। ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ তরুণী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও চাকরি পাচ্ছেন না। তাই ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিকল্প কর্মসংস্থান, যার দ্বারা দেশে বসে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যে কোন ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন জগতে যে কোন কাজ করে তার বিনিময়ে এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দাবি করাকেই বলা হয় ফিনান্সিং, আর এ সমস্ত কাজ যে করে দেয় তাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।

এটি এমন একটি কাজ যে আপনি যখন খুশি তখন করতে পারেন তাই এটিকে মুক্ত পেশা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে বর্তমান যুগে আপনি যখন খুশি তখন বা নিজের ইচ্ছে মত কাজ করলে এই ফ্রিল্যান্সিং যুগের প্রতিযোগিতায় আপনি টিকতে পারবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং এ অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে , যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি ইমেইল মার্কেটিং, ইউ আই ইউ এস ডিজাইন ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে এসে ফ্রিল্যান্স ফ্রিল্যান্সাররা সব সময় নিজেকে আপডেটেড এবং খোঁজাখুঁজি করতে থাকে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

তাই এই আর্টিকেলের শুধু ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সকল সেক্টর গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমান যুগে সবচেয়ে বেশি আলোচিত যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। দেশের তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে যে কোন ব্যক্তি চাকরি বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর পিছনে ছুটছে। তবে এ সংখ্যাটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি তরুণ তরুণীরা এবং এরাই সবচেয়ে বেশি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে ইনকাম করছে।

2022 এর হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করছে এবং এ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ইনকাম হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে যদি আপনি আপনার সঠিক সেক্টরটি নির্বাচন করে দক্ষতা অর্জন না করতে পারেন।
তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছানো বা সফলতা পাওয়ার হার খুবই কম। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি না জেনে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং বাজারে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন না।কাজের চাহিদা অনুযায়ী যদি আপনি আপনার দক্ষতা অর্জন না করতে পারেন তাহলে এই যুদ্ধক্ষেত্রে আপনি আয় তো দূরের কথা, 

কাজ পাওয়াটাও সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ এটি বিগত কয়েক বছরে একটি গুছালো ইন্ডাস্ট্রি হয়ে উঠেছে এবং প্রতিযোগীদের সংখ্যা দিনের দিন বেড়েই চলেছে। একটি সাধারণ জবের পোস্টে হাজার হাজার মানুষ বিট করে যার জন্য বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সাররা একটি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

অনেকেই এভাবে ব্যর্থ হচ্ছে যার জন্য মাথায় চিন্তা ঘুরপাক খেতে শুরু করে যে কোন কাজে আমি বিট করব আর কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং কোন কাজ দিয়ে আমি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব। এ সকল প্রশ্ন মাথায় রেখে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করছি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং সেগুলোর নিচে দেওয়া হলঃ
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • কন্টেন রাইটিং
  • সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ট্রান্সলেশন
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ওয়েব ডিজাইনার
  • ইউ আই/ ইউ এক্স ডিজাইন
  • ই-মেইল মার্কেটিং
  • ডাটা এনালাইসিস
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ডিজিটাল মার্কেটিং

সাধারণত আমরা মার্কেটিং বলতে বোঝায় যেকোনো নেট পণ্য বিক্রয়ের জন্য বাজারে বাজারে অথবা দোকানে গিয়ে বিক্রি করাকে বোঝায়। কিন্তু এখানে যে মার্কেটিং শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা মোটেই এরকম মানে বোঝায় না। এখন মার্কেটিংয়ের জন্য আর বাজারে বাজারে ঘুরে বা দোকানে গিয়ে ঘুরে ঘুরে পণ্য বিক্রি করতে হয় না।

এখন ঘরে বসে থেকেই যেকোনো পণ্য বিক্রি করা যায় আর ঘরে বসে যে কোন পণ্য বা বিক্রি করা যে কোন সার্ভিস দেয়াকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কেননা এটি খুব কম খরচে গ্রাহকের কাছে যেকোনো পণ্যের প্রচার বা সার্ভিস দেওয়া যায়।
বর্তমান সময়ে যে কোন কোম্পানি অন্য একটি কোম্পানির চাইতে সব সময় ভালো করতে চাই তাই বর্তমানে সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অনেকগুলো কাজ রয়েছে যেগুলো শিখে আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার বা সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন সেগুলো নিম্নরূপঃ
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Maeketing)
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
  • মার্কেটিং কনসালটেন্ট (Marketing Consultant)
  • ইউটিউব মার্কেটিং ( YouTube Marketing)
  • ইমেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing)
  • কন্টেন মার্কেটিং(Content Marketing)
  • ব্র্যান্ড স্ট্রাটেজি (Brand Strategy)
  • সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা কি বলা হয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ইন্টারনেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন ক্রিয়েট করার জন্য একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে বেসিক থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত করি এবং প্রোগ্রামিং শিখতে হয়। দক্ষ ওয়েব ডেভলপারকে কখনোই টাকার পিছনে ছুড়তে হয় না অথবা হতাশায় ভুগতে হয় না কেননা টাকায় আপনার পিছনে ছুটতে থাকে যদি আপনি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন।

যখনই আপনার মাথায় প্রশ্ন আসবে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তখন আপনি নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। চলুন এ পর্যায়ে জেনে নেই একজন ওয়েব ডেভলপারের কাজ কি? একজন ওয়েব ডেভলপারের সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে সে একটি ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করব। একজন এডমিন ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড এ কিভাবে ঢুকবে এবং একজন এডমিন কিভাবে তার ওয়েবসাইটের সেটিং গুলো চেঞ্জ করবে।

এছাড়াও একজন ওয়েব ডেভলপারের মূল কাজ একটি ওয়েবসাইটকে ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং ডাইনামিক ভাবে সুসজ্জিত করা। একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপারের সর্বমোট ধাপ হচ্ছে দুইটি। একটি হচ্ছে ফ্রন্ট এড এবং অন্যটি হচ্ছে ব্যাক এড। এই দুইটি ধাপের কাজ করতে একজন ডেভলপারকে আলাদা আলাদা ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে হয়।

ফ্রন্ট এড এ যারা দক্ষ ডেভলপার আছেন অথবা দক্ষ হতে চান তারা ওয়েবসাইটের শুধু বাহ্যিক দিকগুলো দেখাশোনা করেন বা করবেন আর এই বাহ্যিক দিকগুলো হচ্ছেঃ
  • ডিজাইন
  • ভিজুয়াল
  • প্রিভিউ করা
অপরদিকে ব্যাক এড ডেভলপারের কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইটের ভিতর সেটিং, কাস্টমাইজেশন এবং মেনটেনেন্স করা। আর যারা এই দুইটি ধাপের কাজ দক্ষতার সাথে করতে পারে তাদের বলা হয় Full-stack ডেভলপার। এছাড়াও একজন ওয়েব ডেভেলপ করতে যে সকল কোডিংগুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে হয় সেগুলো নিম্নরূপঃ
  • Html
  • CSS
  • PHP
  • JavaScript
  • JQuery
  • Bootstrap
বর্তমান সময়ে একজন ওয়েব ডেভলপারের চাহিদা অনেক গুণ বেশি। কেননা প্রত্যেকটি ব্যবসায়ী এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সারা বিশ্বে ২৪ ঘন্টা ব্যবসা করতে চাই এবং গ্রাহকদের সার্ভিস দিতে চাই।

অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট

মোবাইল বা কম্পিউটার এর জন্য যে সকল সফটওয়্যার করা হয় তাকেই বলা হয় অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট। বর্তমান যুগে সবার হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন তাই যেকোনো ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান তার ব্যবসার উন্নতি অথবা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বাড়াতে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে আগ্রহী কেননা স্মার্টফোনের একটি অ্যাপস এর মাধ্যমে ব্যবসায়ী অথবা প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদান করতে পারবে।
এছাড়া যারা নতুন ফিন্যান্সিং শুরু করেছেন অথবা যারা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করছেন তারা অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ঘরে বসে গেম অথবা যে কোন অ্যাপস তৈরি করে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক নতুন ফ্রিল্যান্সার অথবা পুরাতন ল্যাঙ্গুয়েজ এর প্রতি দক্ষতা অর্জন করলে আপনি একজন দক্ষ অ্যাপস ডেভলপার হিসেবে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • JavaScript
  • C++
  • Python
  • Java
  • C Programing
  • তবে অবশ্যই একটি কথা মনে রাখবেন আপনি যেকোনো একটি ল্যাঙ্গুয়েজ দক্ষ হওয়ার পরে অন্য একটি ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে শুরু করবেন তা না হলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ পর্বে জেনে নিন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বর্তমান সময়ে চাহিদা কেমন? কাজ চলুন জেনে নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন বাজারে চাহিদা কেমন। ধরুন একজন ব্যক্তি সারা বিশ্ব জুড়ে তার প্রোডাকশন করবে সে তার ওয়েবসাইট ডিজাইন করেছে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট করেছে এবং এখন সে শুরু করবে গ্রাফিক্স ডিজাইন। 
অর্থাৎ সে যে প্রোডাক্টগুলো সেল করবে তার একটি সৃজনশীল প্রোডাক্ট এর ছবি তৈরি করতে হবে যেন তা বাজারে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। কেননা প্রোডাক্টটি যতই ভালো হোক না কেন যদি সেটি বাজারের গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারে তাহলে সেটির সেল কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে আমি তো সৃজনশীল না আমি কিভাবে সৃজনশীলতা নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করব। তাহলে আপনি একটি কথা সবসময় মাথা রাখবেন যে পৃথিবীতে কেউ সৃজনশীল মানসিকতা নিয়ে জন্মায় না। কঠিন অধ্যাবসায় এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সৃজনশীলতা অর্জন করে নিতে হয়।

আপনি যত সুন্দর করে একটি ছবি তৈরি করতে পারবেন আপনি তথ্য প্রশংসিত হবেন এবং দক্ষ হয়ে উঠবেন। এখন বিষয় হচ্ছে যে দক্ষগ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে আপনার কি কি কি শেখা প্রয়োজন চলুন তা জেনে নিঃ
  • UI/UX Design
  • Logo Design
  • Product Packaging
  • Photo Editing
  • Marketing Material Etc
বর্তমান ফ্রিলান্সিং যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়েই চলছে। একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার প্রতি ঘন্টায় ৩৫ থেকে ৪০ ডলার ইনকাম করে থাকেন।

ভিডিও এডিটিং

বিভিন্ন অ্যাপস বা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে যে কোন ভিডিও ক্লিপ ফটো সাউন্ড ইত্যাদি যোগ করে একটি সৃজনশীল এবং আকর্ষণীয় করে তোলা কে ভিডিও এডিটিং বলে। বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি কেননা ইউটিউব ফেসবুক টিক টক ইনস্টাগ্রাম থ্রেট টুইটার যতগুলো ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সবাই তাদের প্রতিষ্ঠানের 

ব্যবসার মার্কেটিং এর জন্য ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে একজন ভিডিও এডিটর মাসে গড়ে দুই থেকে তিন লাখ টাকা ইনকাম করতে পারে যদি সে একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম গুলো যেভাবে পরিচিত লাভ করছে সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এর চাহিদা দিনের দিন প্রচুর পরিমাণে বাড়তে থাকবে।

এছাড়া চলচ্চিত্র মিউজিক ভিডিও যেকোনো ধরনের বিজ্ঞাপন এবং নাটকের জন্য দক্ষ ভিডিও এডিটরদের প্রয়োজন পড়ে, তখন তারা বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রিল্যান্সারকে ভাড়া করে থাকেন। যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন তাহলে ভিডিও এডিটিং হতে পারে আপনার জীবনের সাফল্যের অন্যতম একটি মূল মন্ত্র।

একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর হতে হলে আপনাকে যে সকল সফটওয়্যার দক্ষতা অর্জন করতে হবে তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
Adobe Premiere Pro
  • Wondershare Filmora
  • Vegas Pro
  • Magix Movie Edit Pro
  • Camtasia
  • Edius etc

কন্টেন রাইটিং

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই উক্তিটির মধ্যে ৬ নম্বর রয়েছে কন্টেন্ট রাইটিং। কন্টেন রাইটিং এর মূল কাজ হচ্ছে আপনাকে যে কোন বিষয়ের উপরে বা যেকোনো কি-ওয়ার্ডের উপরে অথবা ক্লাইন্ট দেওয়া লেখার ফরমেট অনুসারে আপনাকে বিষয়বস্তু গবেষণা করে বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে লেখা। কন্টেন রাইটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

একজন দর্শক কন্টেন্ট রাইটার প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করে। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান শিক্ষাক্ষেত্রে অর্থাৎ প্রত্যেকটি সেক্টরে কন্টেন রাইটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা ভালো কনটেন্ট একটি ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে গ্রাহকের মন খুব সহজেই জয় করতে পারে। নতুন ফ্রিল্যান্সার অথবা পুরাতন ফ্রিল্যান্সার যদি আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এ দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনাকে জবলেস হয়ে বসে থাকতে হবে না।

যদি আপনি দক্ষ হয়েও কোন কাজ না পান তাহলে আপনি নিচে এবং ব্লগ তৈরি করে অথবা ব্লগ পোষ্ট করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। https://www.blogger.com/ এখানে প্রবেশ করে আপনি ব্লগ পোস্টশুরু করতে পারেন।

সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন

যেকোনো ধরনের কনটেন্ট বা যেকোনো ওয়েবসাইটকে হাফ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রদর্শন করার কাজকেই বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যখন কেউ কোন কিছু লিখে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করে তারপর একটি ওয়েবসাইটে ঢুকে সে তার কাঙ্কৃত ফলাফল পায়। সার্চ করার পর যে ফলাফল গুলি পায় এর মধ্যে প্রথম পৃষ্ঠায় যে ওয়েবসাইট গুলো থাকে সেগুলোকে তার স্থান ধরে রাখার জন্য অথবা প্রথম পৃষ্ঠায় আনার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করতে হয়।
আর এই কাজটি একটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী একজন দক্ষ এসইও এক্সপার্ট দ্বারা করে নেয়। তাই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে এসইও এক্সপার্ট এর প্রয়োজন প্রচুর বেশি। আর একজন SEO এক্সপার্ট কে কখনোই পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। একজন এসে এক্সপার্ট মাসের লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করেন।

প্রত্যেক ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান চাই যে তার ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিলের প্রথম পৃষ্ঠায় থাক, তাই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট এ সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশনের চাহিদা অনেক বেশি।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর পরবর্তী স্থান হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আছে যেমন টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেট, ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদি পারফর্মে পণ্য সেবা,ব্র্যান্ড এবং ব্যবসা এর মার্কেটিং করা। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ এসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বেশিরভাগ সময় একটিভ থাকেন।

তাই যেকোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়ার সাথে সাথে তা কাঙ্খিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যায়। এছাড়া বাজারে বাজারে গিয়ে বা দোকানে গিয়ে মার্কেটিং করতে যে খরচ হয় এসব প্লাটফর্মে খুব অল্প টাকায় খুব কম সময়ে অনেক গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়। তাই তাই দিনের দিন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে।

তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই সেক্টরটিতে দক্ষতা অর্জন করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন আপনি চাইলে যে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব নিয়ে তার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন অথবা তাদের সোশ্যাল সাইড মেনটেনেন্স করতে পারেন ইত্যাদি।

ট্রান্সলেশন

ট্রান্সলেশন শব্দের অর্থ হচ্ছে অনুবাদ করা। যারা এক ভাষা থেকে অন্য ভাষা অনুবাদে পারদর্শী তাদের এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমান সময়ে ট্রান্সলেশনে দক্ষ কর্মীর চাহিদা দিনের দিন বেড়েই চলেছে। কেননা একে অপরের সাথে যে কোন ব্যবসা অথবা প্রতিষ্ঠান কোন সমস্যা এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করে অন্য দেশের মানুষকে বোঝানোর ক্ষেত্রে একজন ট্রান্সলেশন ফ্রিল্যান্সার দরকার হয়।

2019 সালের হিসাব অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার ডটকমে প্রায় 53% ট্রান্সলেশন চাহিদা বেড়েছে। বর্তমান সময়ে স্প্যানিশ, ফার্সি, চীন, জাপান, ইংরেজি, আরবি, রুস, মান্দারিন ইত্যাদি ভাষায় ট্রান্সলেশনের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। এছাড়াও ট্রান্সলেশনের দক্ষ হওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ট্রানসলেশন পোস্ট ব্যবহার করে translation করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি

সাধারণত যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডাটা জব সম্পাদন যাচাই করাকে বলা হয় ডাটা এন্ট্রি। ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স ইনফরমেশন এক্সেল অথবা মাইক্রোসফটের সুসজ্জিত করতে হয়। এছাড়া অনেক সময় পিকচারের ওপরে লেখাগুলোকে টেক্সটে রূপান্তর করতে হয়।

ডাটা এন্ট্রি কার্ডের জন্য কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা অনেক বেশি কেননা বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ডাটা এন্ট্রি সরকারদের কাছ থেকে সার্ভের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন নিয়ে মার্কেটিং করে।

আর বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অন্যতম মার্কেটিং সেক্টর হওয়ায় ডাটা এন্টি কাজের চাহিদা অনেক বেশি। খুব অল্প সময়ে যদি আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান, নিজেকে এই সেক্টরে দক্ষ করে তুলতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইনার

একজন ওয়েব ডিজাইনারের কাজ হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটকে সুন্দরভাবে গ্রাহকের কাছে উপস্থাপন করা যেমন ওয়েবসাইটটি তে কি কি ধরনের ফিউচার থাকবে তার একটু হুবহু কবে কপি তৈরি করা। একটি ওয়েবসাইট কে ব্যবসায়ীর দিক থেকে সফলতা পাওয়ার জন্য এবং ব্যবহারকারী সুবিধা হোক সৌন্দর্য মাথায় রেখে তৈরি করাকে বলা হয় ওয়েব ডিজাইন।

বর্তমান সময়ে ওয়েব ডিজাইন একটি জনপ্রিয় পেশা হিসেবে মানুষ গ্রহণ করছে। তারা ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং মাথার মধ্যে একটি চিত্র অঙ্কন করে ওয়েবসাইট তৈরি করে। বর্তমান সময়ে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একজন দক্ষ ডিজাইনার ক্লায়েন্টের কাজ করি মাসে লক্ষ্যাদিক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ইউ আই/ ইউ এক্স ডিজাইন

ইউ আই এর মানে হচ্ছে ইউজারদের জন্য তৈরি করা ইন্টারফেস এবং এর অর্থ হচ্ছে ইউজার এক্সপেরিমেন্ট অর্থাৎ ইউ আই ও ইউ এস এর কাজ হচ্ছে যে কোন ওয়েবসাইট মোবাইল অ্যাপস এর জন্য ইউজার ইন্টারফেস এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স তৈরি করা। একটি ওয়েবসাইট গ্রাহকের জন্য ইন্টারফেস কেমন হবে তা নির্ধারণ করে একজন ইউআই এবং ইউএস ডিজাইনার।

দক্ষ ইউ আই এবং ইউএস ডিজাইনার সব সময় গ্রাহকের চাহিদার উপর নির্ভর করে ইন্টারফেস গুলি তৈরি করে থাকেন। যে সকল অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের ইউআই এবং ইউএস ডিজাইন তত সহজ এবং ডাইনামিক হবে সেই ওয়েবসাইট বা এপ্স গ্রাহকের কাছে তত জনপ্রিয়ভাবে উঠে।
তাই যে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের ওয়েবসাইটের বা অ্যাপসের ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টার্নেস তৈরির জন্য একজন ইউআই এবং ইউএস এক্সপার্ট খুজে থাকেন। আর আপনি যদি এই ইউ আই এবং ইউএস এক্সপার্ট হন তাহলে আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন কেননা দিনের দিন এই সেক্টরের প্রয়োজনেতা বেড়েই চলেছে।

ই-মেইল মার্কেটিং

যখন আপনার মনে প্রশ্ন ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তখন আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর দিকে নজর দিতে পারেন কেননা ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি পণ্য ব্যবসা অথবা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং করা যায় কম খরচে। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকের হাতেই স্মার্টফোন এবং এই স্মার্টফোনের প্রায় ম্যাক্সিমাম ইউজার ইমেইল ব্যবহার করে থাকেন।

যেগুলো পণ্য এর বিজ্ঞাপন অথবা যে কোন ব্যবসার বিজ্ঞাপন ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নামই হচ্ছে ইমেল মার্কেটিং। সারা বিশ্বে ব্যবসার সংখ্যা যত বাড়ছে ইমেইল মার্কেটিং এর চাহিদা তত বাড়ছে। কারণ এটির খরচ কম এবং অন্যান্য মার্কেটিং এর চাইতে একটি কার্যকরী উপায়। চলুন জেনে নিয়ে একজন ইমেইল মার্কেটার কাজ কি?
  • একটি সুসজ্জিত ইমেইলের লিস্ট তৈরি করা
  • ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য ডিজাইন তৈরি করা
  • বাজারে বিভিন্ন ধরনের টুলস পাওয়া যায় সেসব টুলস ব্যবহার করা
  • মার্কেটিং কেমন পারফর্ম করছে তা এনালাইসিস করা
  • ইমেইল পাঠানোর পর সেটিকে ট্রাক করা

ডাটা এনালাইসিস

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই পর্বে আলোচনা করব ডাটা এনালাইসিস নিয়ে। আলোচনার এই পর্বে চলুন জেনে নেই ডাটা এনালাইসিস কি এবং কিভাবে কাজ করে। ধরুন আপনি কারো ডিটেলস জানতে চান তখন কি করবেন তার সম্বন্ধে খোঁজাখুঁজি করবেন বা লোকজনের কাছে জানতে চাইবেন। ঠিক তেমনি যে কোন ডাটা মূল্যায়ন করার পর বিচার বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করার নামই হচ্ছে ডাটা এনালাইসিস।

একজন দক্ষ ডাটা এনালাইসিস এর মূল কাজই হল যেকোনো ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জ্ঞান এবং সূত্র সমূহ বের করা এরপর সেখান থেকে একটি মূল্যবান সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা। ডাটা এনালাইসিস এর চাহিদার দিন দিন বেড়েই চলেছে কারণ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এনজিও এবং দেশের সরকার ডাটা এনালাইসিস এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কাজের পরিকল্পনা করে থাকে।

কেননা ডাটা এনালাইসিস এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান অথবা অন্যের সেবা দিতে গ্রাহককে আকর্ষণ করে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

প্রশাসনিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক, টেকনিক্যাল যে কোন ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি যে কোন জায়গা থেকে তার ক্লায়েন্টকে সাপোর্ট প্রদান করে থাকে তাকেই বলা হয় ব্যাড্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। একজন দক্ষ ফিরাচার তার ক্লায়েন্টের জন্য ওয়েব ডেভলপার, গ্রাফিক্স, সোশ্যাল মিডিয়া, আর্টিকেল রাইটিং ডাটা এনালাইসিস ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন।

বড় বড় কোম্পানিগুলা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় তখন তাদের কাছে এত বেশি সময় থাকে না সমস্যাগুলো সমাধানের তাই তারা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাড়া করে। দিন দিন এই সেক্টর টির চাহিদা বেড়েই চলেছে।তাই আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজের চাহিদা বেশি

আমাদের মনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসে এর মত অন্যতম একটি প্রশ্ন করার চেষ্টা করে সেটি হল আমি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখতে পারি? চাকরির পাশাপাশি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করব পড়াশোনার পাশাপাশি কিভাবে ফিঞ্চিং করব? এই সেক্টরটিতে দক্ষতা অর্জন করতে হলে আমাকে কি কি করতে হবে এরকম হাজার হাজার প্রশ্ন সবার মাথায় ঘুরপাক খায়।

কিন্তু মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা সহজ যদি আপনি চাইলে সম্পূর্ণ সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। মার্কেট প্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা খুব বেশি, একটা কাজে দক্ষ হয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের যে সকল কাজের ডিমান্ড বেশি সেই সকল কাজগুলো নিম্নে দেওয়া হলো। এখান থেকে আপনি যে কোন একটি কাজ বাছাই করে দক্ষতা অর্জন করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনার
  • আর্টিকেল রাইটার
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • 2D এনিমেশন
  • UI/UX ডিজাইন

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

সাধারণত মোবাইল বা যে কোন ডিভাইসের সফটওয়্যার অথবা অ্যাপ্লিকেশন কে সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি করা ডিজাইন করা ইত্যাদি কে বোঝায়। 2022 সালের একটি অনুসন্ধান নেই দেখা যায় বিশ্বব্যাপী সফটওয়্যার বাই অ্যাপ্লিকেশনের বাজার ছিল প্রায় ২০৭ বিলিয়ন এবং এটি ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রায় 14 শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। আর এই অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এই বিশ্ব বাজারে প্রায় ৬৫% আউটসোসিং অথবা ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি দক্ষ এ অ্যাপস ডেভেলপার হয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া আপনি নিজে অ্যাপস তৈরি করে স্মার্টফোনের গুগল প্লে অথবা আই ও এস অ্যাপ স্টরে আপনি আপনার তৈরি কৃত অ্যাপসটি বিক্রি করতে পারেন।

একজন অ্যাপস ডেভলপার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে প্রায় 3000 থেকে 4000 ইনকাম করে থাকেন

ডিজিটাল মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই পর্বটিতে আপনি জেনেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন চলুন এই পর্বে জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ চাহিদা কেমন। আপনি জেনেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি কেন এবং কি কারনে মানুষ এটি করে। যে কোন পণ্য বা ব্যবসাকে বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর নামে হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

বর্তমান সময়ে প্রায় পাঁচ বিলিয়নের বেশি মানুষ রেগুলার ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। আরে সংখ্যাটি পাঁচ বছর পর দ্বিগুন থেকে তিনগুণ হয়ে যাবে। দিনের দিন যত নিত্য নতুন পণ্য আসছে যত মানুষ ব্যবসা করছে ততই ডিজিটাল মার্কেটিং চাহিদা বাড়ছে বিশেষ করে বাহির বিশ্বের কোম্পানিগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক গুণ বেশি।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার

বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা অনেক বেশি। যে কোন কোম্পানি বা ব্যবসায়ী তার পণ্যের সৃজনশীল ডিজাইনের জন্য একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে হায়ার করে থাকেন। আর ফিলিংদের খুঁজে বের করার সহজ উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো। তাই যে কোন কোম্পানি ফ্রিল্যান্সার হওয়ার করে থাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে।

একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার মার্কেটপ্লেস থেকে পাঁচ থেকে ছয় হাজার ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় 6 থেকে 7 লাখ টাকা ইনকাম করে। এছাড়াও আপনি টাইপোগ্রাফি, ফটোগ্রাফি, আইকনোগ্রাফি এসব বিষয়ে দক্ষ হয়ে মাইক্রোস্কোক সাইটগুলোতে আপনি আপনার ডিজাইন আপলোড করে, এ সাইটটি আপনার ইউজারের ডাউনলোডের উপর ভিত্তি করে আপনাকে টাকা প্রদান করে থাকে।

আর্টিকেল রাইটার

বর্তমান সময়ে আর্টিকেল রাইটারের চাহিদা মার্কেটপ্লেসগুলোতে বেড়েই চলেছে। কারণ একজন কোম্পানি যখন তার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর শেষে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে একটি ইউনিট আর্টিকেল রাইট করতে চাই তার পণ্যটি গ্রাহকের কাছে খুব সহজে পরিচিত লাভ করে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটারের অনেক ডিমান্ড।

একজন আর্টিকেল রাইটার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ঘন্টায় 40 থেকে 50 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। তাই আপনি নিজেকে একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হিসেবে গড়ে তোলে মাসে অ্যাভারেজ চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। এছাড়া আপনি ব্লগ পোস্ট করে ব্লগারের সাহায্যে আপনার ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের থার্ড পার্টি অ্যাড দেখেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ডিজাইন

ওয়েবসাইট ডিজাইন বলতে আমরা বুঝি যে ওয়েবসাইটের ভিতর বাহির গ্রাহকের কাছে আকর্ষণে করে তোলা আর এই কাজটি যে করে দেয় তাকে বলা হয় ওয়েব ডেভেলপার। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েবসাইট ডিজাইনার অর্থাৎ ওয়েব ডেভলপারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বাস যত বড় বড় কোম্পানি রয়েছে তারা তাদের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব ডেভেলপার হায়ার করে।

ডেভেলপার তিনি সম্পূর্ণভাবে ওয়েব এপ্লিকেশন এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকেন খুব দক্ষতার সঙ্গে। মূলত বাইরের কোম্পানিগুলো একজন দক্ষ ফুলস্টাক ওয়েব ডেভলপার খুঁজে থাকেন। তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ফুলস্টাক ডেভলপার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটি মার্কেটপ্লেস থেকে ঘন্টায় 30 থেকে 40 ডলার অথবা মান্থলি আপনি 6 থেকে 7 লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

2D এনিমেশন

দ্বিমাত্রিক চলমান ভিডিও তৈরি করাকে অ্যানিমেশন বলা হয়। টিং এর যুগে বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে টুডে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে মার্কেটপ্লেসে। হাতে আঁকা ছবি থেকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন তৈরির ক্ষেত্রে এর ব্যাপক পরিমাণ ব্যবহার বেড়েছে। আর এই ট্রুটি অ্যানিমেশন যারা করে দেয় তাদেরকে বলা হয় অ্যানিমেটর।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এর ভিডিও বা স্থিরচিত্র তৈরি করতে এই 2D animation ব্যবহৃত হয় টুডে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ২২০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এখনই টু ডি অ্যানিমেশনে দক্ষ এনিমিটার হয়ে মার্কেটপ্লেসে ঝাঁপিয়ে পড়ুন আর লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করুন।

UI/UX ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই পর্বটিতে আমরা ইউআই ইউএস ডিজাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন আলোচনার এ পর্যায়ে এসে জেনে নিয়ে মার্কেটপ্লেস এর চাহিদা কেমন? দেখুন যখন একজন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠাতা অথবা যে কোন কোম্পানি তার গ্রাহকের ওপর নির্ভর করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন।

তখন একজন গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে UI/UX ডিজাইন করতে হয়। এজন্য বড় বড় কোম্পানি বাট কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা একজন দক্ষ ইউ আই ইউ এক্স ডিসাইনার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে হায়ার করে থাকে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই সেক্টরে দক্ষতা নিয়ে কাজ করলে মাসে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

আলোচনার এ পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোন কাজের চাহিদা বেশি এর ওর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট। কেননা একজন ব্যক্তি যখন একটি নির্দিষ্ট পণ্য অথবা কোন সার্ভিস সেল করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবে। তখন তার পণ্যটি অথবা তার ওয়েবসাইটটি যেন গ্রাহক নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারে সেজন্য সে একটি অ্যাপস তৈরি পরিকল্পনা করবে।

আর এই অ্যাপস তৈরি কাজটি করে থাকেন একজন অ্যাপস ডেভলপার। বিশ্বের পরিচিত জায়গা গুলোর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো অন্যতম জায়গা যেখানে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করা যায়। একজন ক্লায়েন্ট এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে একজন অ্যাপস ডেভলপারকে খুঁজে অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের জন্য হায়ার করে। একজন দক্ষ apps ডেভেলপার মাসে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?

বর্তমান যুগ ফ্রিল্যান্সিং যুগ তরুন তরুনী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে শুরু করে স্টুডেন্ট চাকরিজীবী সবাই এখন ফ্রিল্যান্সিং এর ওপর ঝুঁকে পড়েছে। কারণ এটি একটি মুক্ত পেশা। যখন আপনার মাথার মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খাবে তখনই মনে আসবে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি? চলুন আলোচনার এ পর্যায়ে জেনে নিয়ে বর্তমান সব চেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
আপনাকে কথা বলি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো একটি বিষয়ে যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে মার্কেটপ্লেস অথবা মার্কেটপ্লেস এর বাইরে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি দক্ষতা অর্জন না করে ফিন্যান্সিং করতে আসেন তাহলে আপনি মুহূর্তের মধ্যেই ঝরে পড়বেন কারণ ফ্রিল্যান্সিং ইন্ডাস্ট্রিটা এখন অনেক গোছালো।

ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, লেখালেখি, অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট সাইবার সিকিউরিটি এবং প্রোগ্রামিং। তবে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হচ্ছে প্রোগ্রামিং।

কেননা এই প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন এবং সাইবার সিকিউরিটি হয়েও কাজ করতে পারবেন। তাই নিজেকে দক্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তুলুন লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করুন।

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি?

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই আলোচনার এই পড়বে আমরা জানবো নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি? যখন একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং করার চিন্তাভাবনা করে তখন তার মাথায় প্রশ্ন আসে যে আমি কোন সেক্টর টি ভালোমতো শিখব। তাহলে আপনাকে আমি বলে রাখি উপরে যে সকল সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেখান থেকে আপনি যেকোনো একটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করলে,

মান্থলি এভারেজ আপনি দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে কাজের দক্ষতা আনলেই হবে না আপনাকে বুঝতে হবে যে কোন মার্কেটপ্লেসটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী। বর্তমানে সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেস এর সংখ্যাও। তাই যদি আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং সঠিক মার্কেটপ্লেসটি আপনি নির্বাচন না করতে পারেন।

তাহলে আপনার কাজের দক্ষতা থেকেও কোন লাভ নেই আপনি খুব তাড়াতাড়ি ঝরে পড়বেন। চলুন জেনে নিন নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য মার্কেটপ্লেস কয়টি ও কি কি? নতুন ফিন্যান্স শব্দের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস হচ্ছে মোট পাঁচটি। যথাঃ
  • Upwork
  • Fiverr
  • Freelancer.com
  • peopleperhour
  • Guru.com
  • seoclerks

লেখক এর মন্তব্যঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

আজকের এই আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটিতে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা কেমন এবং মাসে তারা কত লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে এ সকল তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। যদি এ সকল সম্পর্কে আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনি সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

 আশা করি আপনি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে এ আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনেছেন। যদি আপনি এখনো এ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি পুনরায় মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই তাদের সাথে শেয়ার করুন। পরিশেষে একটি কথা বলব ফ্রিল্যান্সিং শিখি সমৃদ্ধ দেশ গড়ি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url