মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
মাল্টা বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়শীল দেশের তুলনায় একটি উন্নত দেশ। তাই বাংলাদেশের
অনেকেই মাল্টা যেতে চায় এবং মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ সম্পর্কে জানতে
চাই। আজকের আর্টিকেলটি যারা মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে চান তাদের জন্য। তাই আর্টিকেলে মালটা যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত
এবং মালটা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এই দেশ উন্নত অর্থনীতির কারণে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক সেখানে কাজের সন্ধানে
যান। তবে, অনেক শ্রমিকের কাছে সেখানে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা স্পষ্ট নয়।
যদি আপনি সেখানে চাহিদাসম্পন্ন কাজগুলো জানেন, তাহলে আপনি মাসে ভালো অংকের টাকা
আয় করতে পারবেন। যদি আপনি সেখানে অধিক আয় করতে চান এবং মাল্টা সম্পর্কে আরো
বিস্তারিত তথ্য পেতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ ভূমিকা
প্রতিবছর মাল্টার সরকার দেশের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে
শ্রমিক নিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন। সেখানে
কাজের চাহিদা ও মান অনেক উন্নত। আর একেক কাজের বেতন একেক রকম ভাবে নিধারন করা
হয়। তবে সাধারণ কাজের তুলনায় কোম্পানি কাজে অনেক বেশি টাকা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ দুবাই বাসা ভাড়া
বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক সেখানে গিয়ে কাজের জন্য অবস্থান নেয়। বর্তমান সময়ে
বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের চাহিদা অনেক এবং দিন দিন বাংলাদেশি শ্রমিক দের
চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। তাই যারা মালটা যেতে চাচ্ছেন এবং মালটা কোন কাজের চাহিদা
বেশি ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা আজকের আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ুন।
মাল্টা কাজের ভিসার এক মাসের বেতন কত
আপনারা যারা মাল্টা কাজের জন্য যেতে চান তাদের অবশ্যই জেনে রাখা দরকার এক মাসের
বেতন কত। বিভিন্ন কাজের বেতন বিভিন্ন ভাবে বা বিভিন্ন রকম হতে পারে। এক মাসের
বেতন জানার ইচ্ছা অনেকের থাকে। রিসিপশনিস্ট কাজের বেতন এক মাসে ৯০ হাজার থেকে ১
লক্ষ টাকা পযন্ত।
রেসটুরেন্ট এর বেতন ৭০ থেকে ৯০ হাজার হয়ে থাকে। ডেলিভারি ম্যানের বেতন এক মাসে
প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১লক্ষ টাকা। হিসাব রক্ষ এর বেতন ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৪০
হাজার পযন্ত। কাজের ধরন হিসাবে কাজের বেতন নিধারণ করা হয়।
মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে
মাল্টা যেতে খরচের পরিমাণ বিভিন্ন উপায়ে ভিন্ন হতে পারে। সরকারিভাবে যেতে খরচ
প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হতে পারে। অন্যদিকে, বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে
চাইলে খরচ হতে পারে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। তবে, এই খরচের পরিমাণ বিভিন্ন এজেন্সি
এবং সময়ের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
মাল্টা যাওয়ার জন্য আপনাকে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে, এবং এর পর
ভিসা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধাপে খরচ হতে পারে,
যেমন ওয়ার্ক পারমিট ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি, ম্যান পাওয়ার ফি, এবং অন্যান্য
সংশ্লিষ্ট খরচ।
সরকারিভাবে আবেদন করার জন্য আপনি VFS Global এর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথবা
অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি মাল্টার ইমিগ্রেশন
অফিসের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন অথবা নিকটস্থ দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পারেন। সঠিক
তথ্য এবং আপডেট পেতে সর্বদা সরকারি সূত্র অনুসরণ করা উচিত।
মাল্টা সর্বনিম্ন বেতন
মূলত মাল্টায় অন্যান্য কাজের তুলনায় বা অন্যান্য দেশের তুলনায় কাজের ধরন এবং
কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিওি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আপনাদের যদি কাজের
উপর ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ টাকার মতো আয় করতে
পারবেন।
আর সর্বনিম্ন বেতন যেটা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকার মতো হবে। বর্তমান
সময়ে অনেক শ্রমিক সেখানে কাজে গিয়ে অর্থনেতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে দিন
দিন শ্রমিক এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অনেকই সেখানে যেতে আগ্রহি হচ্ছে।
মাল্টায় কোন কাজের বেতন বেশি
আপনারা যারা মাল্টায় যাচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে তারা অবশ্যই জানতে চান যে সেখানে
কোন কাজের বেতন কত টাকা। সেখানে কাজের উপর ভিওি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়।
সেখানে বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক যায় যেমন রেসটুরেন্ট কর্মী,হোটেল বয়,ডেলিভারি
ম্যান ও ক্লিনার ইত্যাদি। এই কাজ গুলো বর্তমানে কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়া করা যায়।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
যদি আপনি উপরে কাজ গুলো করেন তাহলে আপনি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ হাজার থেকে
৮০ হাজার টাকা মতো আয় করতে পারবেন। এগুলো কাজ ছাড়া আর ও অনেক কাজ আছে যেমন
সিভিল ইজ্ঞিনিয়ারিং,কনস্টাকশন কর্মী, এগুলো কাজের বেতন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার
মতো।
মাল্টায় কোন কাজের বেতন কত
মাল্টায় বেতনের পরিমাণ বিভিন্ন কারণে পরিবর্তন হতে পারে, যেমন পেশার ধরন,
কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, এবং কোম্পানির নীতি ইত্যাদি। আপনি ভালো কোন কোম্পানিতে
যেতে পারেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে অনেক টাকা আয় করতে পারেন। মাল্টায় কোন কাজের
বেতন কত তা বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো।
কনস্ট্রাকশন কর্মীঃ প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার
টাকা।
ডাক্তারঃ প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
ইঞ্জিনিয়ারঃ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।
শেফঃ ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারঃ প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার
টাকা।
রিসিপশনিস্টঃ প্রায় ৯০ হাজার টাকা।
রেস্টুরেন্ট ওয়েটারঃ প্রায় ৭৮ হাজার টাকা।
ক্লিনারঃ প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
গার্মেন্টস কর্মীঃ প্রায় ৯০ হাজার টাকা।
এই বেতনের পরিমাণ কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, এবং কোম্পানির নীতি অনুযায়ী ভিন্ন হতে
পারে। সঠিক তথ্যের জন্য আপনি ইমিগ্রেশন অফিস অথবা নিয়োগকর্তার সাথে যোগাযোগ
করতে পারেন।
মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
প্রতিবছর মাল্টায় কাজের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক
নিয়ে থাকে। ২০২৪ সালে সেখানে বেশ কিছু কাজের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। এখানে যে
কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।
রেস্টুরেন্ট ও হোটেল ম্যানেজমেন্টঃ পর্যটন শিল্পের বিকাশের কারণে রেস্টুরেন্ট ও
হোটেল ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের চাহিদা বেশি।
কনস্ট্রাকশনঃ নির্মাণ শিল্পে কর্মীদের
চাহিদা সবসময়ই থাকে, বিশেষ করে যারা বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজে দক্ষ।
ক্লিয়ারেন্স ও সিকিউরিটি গার্ডঃ নিরাপত্তা
সংক্রান্ত কাজের চাহিদা বেশি থাকে।
গার্মেন্টস শ্রমিকঃ পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের
চাহিদা বেশি।
ডেলিভারি ম্যান ও ফুড প্যাকেজিংঃ অনলাইন
বাজারের বিকাশের সাথে সাথে এই ধরনের কাজের চাহিদা বাড়ছে।
ক্লিনারঃ পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত কাজের
চাহিদা সবসময় বেশি থাকে।
এই কাজগুলোর চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে এগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগও বেশি। তবে,
চাকরির বাজার সবসময় পরিবর্তনশীল হওয়ায়, সর্বশেষ তথ্যের জন্য ইমিগ্রেশন অফিস
অথবা নিয়োগকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এছাড়াও, কাজের চাহিদা সম্পর্কে
আরও বিস্তারিত জানতে আপনি ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।
মাল্টা কাজের ভিসা পেতে কতদিন লাগে
মাল্টা কাজের ভিসা পেতে সাধারণত ৩ মাস বা ৯০ দিনের মতো সময় লাগে। এই সময়কাল
আপনার আবেদনের ধরণ, নিয়োগকর্তার প্রস্তুতির অবস্থা, এবং আবেদনের ব্যক্তিগত
পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ভিসা আবেদন করার পর আপনি একটি ট্র্যাকিং কোড পাবেন,
যা দিয়ে আপনি ভিসার স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য আপনাকে প্রথমে VFS Global এর মাধ্যমে অথবা সরকারি
মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর আপনাকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি,
জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি, পাসপোর্ট ইত্যাদি ডকুমেন্টস সহ ভিসা প্রসেসিং ফি, ম্যান
পাওয়ার ফি, ওয়ার্ক পারমিট ফি পর্যায়ক্রমিকভাবে পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় বিভিন্ন ধাপে খরচ হতে পারে, যেমন ওয়ার্ক পারমিট ফি,
ভিসা প্রসেসিং ফি, ম্যান পাওয়ার ফি, এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খরচ। সরকারিভাবে
ভিসার সকল খরচ মিলিয়ে প্রায় ৩.৫ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। সঠিক তথ্যের
জন্য আপনি ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন অথবা নিকটস্থ দূতাবাসে
যোগাযোগ করতে পারেন। সর্বদা সরকারি সূত্র অনুসরণ করা উচিত।
শেষ কথাঃ মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
বর্তমান সময়ে মাল্টায় বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক যেতে চায়। তবে সেখানে কোন
কাজের চাহিদা বেশি তা বিস্তারিত জানা থাকে না। সেখানে বিভিন্ন কাজের ধরন
বিভিন্ন ভাবে হয়ে থাকে। আপনারা উন্নত জীবনের আসায় বা অর্থনেতিক ভাবে উন্নত
হওয়ার আসায় সেখানে যেতে পারেন। কারণ এটি একটি ভালো দেশ।
আজকের আর্টিকেলে মাল্টায় কাজের বেতন এবং মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ সহ
অন্যান্য সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি
আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!
চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url