বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
প্রিয় পাঠক, আপনি কি বাচ্চাদের হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয় সে
সম্পর্কে জানতে চাইছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে সহায়তা করতে পারে। আজকের
আর্টিকেলে বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয় এ সকল
বিষয় জানতে পারবেন।
এছাড়াও আর্টিকেলটি থেকে জানতে পারবেন বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
সম্পর্কে। আমাশয় হলে বাচ্চাদের অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এ সকল সমস্যা
থেকে বাচ্চাকে রক্ষার জন্য আমাশয় হলে করণীয় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
পেজ সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
- ভূমিকা
- আমাশয় কি সংক্ষেপে
- বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
- বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
- ৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়
- ১ বছরের বাচ্চার আমাশয় হলে করণীয়
- ১ মাসের শিশুর আমাশয় হলে করণীয়
- ৮ মাসের বাচ্চার আমাশয় হলে করণীয়
- বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত নয়
- ৬ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়
- শেষ কথাঃ বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
ভূমিকা
শিশুদের আমাশয় অনেকটাই সহজেই আক্রান্ত হতে পারে, এবং এটি বাচ্চাদের জন্য একটি
গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হতে পারে। আমাশয় সমস্যার মূল কারণ হতে পারে বিভিন্ন কারণের
মধ্যে, যেমন খাবারের জন্য সঠিক প্রস্তুতি না থাকা, জীবাণুগত আক্রমণ,
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ ডায়রিয়া হলে করণীয় কি
আজকের আর্টিকেলে বাচ্চাদের হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয় এ সকল
বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও এমন ভাবে ঘরোয়া চিকিৎসা
পদ্ধতি নিয়ে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়
সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমাশয় কি সংক্ষেপে
আমাশয় হলো একটি পেটের রোগ, যেখানে পাতলা, রক্তযুক্ত মল হয় এবং পেটে ব্যথা ও
জ্বর হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া বা প্রোটোজোয়া নামক জীবাণুর সংক্রমণের ফলে হয়। এটি
দূষিত জল বা খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটির চিকিৎসা হলো অ্যান্টিবায়োটিক,
তরল পুনরুদ্ধার এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।
আরো পড়ুনঃ মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
আমাশয় দুই প্রকারের হতে পারে, অ্যামিবাঘটিত আমাশয় এবং দণ্ড-ব্যাকটেরিয়াঘটিত
আমাশয়। অ্যামিবাঘটিত আমাশয় হলো এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক পরজীবীর কারণে
হওয়া একটি রোগ, যেটি বৃহদান্ত্রের শ্লেষ্মাঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্তযুক্ত
আম সহ পায়খানা হয়।
বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আমাশয় হলো একটি সংক্রামক রোগ, যা মলাশয়ের সংক্রমণের কারণে হয়। এটি পেটে ব্যথা,
জ্বর, বমি, আম বা রক্তসহ পাতলা পায়খানা এবং শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের
ক্ষয়ের লক্ষণ দেখায়। বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করার জন্য
নিম্নলিখিত কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
- বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে পানি বা স্যালাইন পান করাতে হবে, যাতে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ক্ষয় পূরণ হয়।
- বাচ্চাকে সহজসম্পাদনীয় এবং পৌষ্টিক খাবার খাওয়াতে হবে, যেমন দুধ, দই, চাল, দাল, সুপ, ফল ও শাকসবজি। কাঁচা বা অপরিষ্কার খাবার, তেলভরা বা মসলাদার খাবার, কফি, চা বা কোলা এড় করতে হবে।
- বাচ্চাকে পরিষ্কার ও নিরাপদ পানি পান করাতে হবে। কোনো অন্যান্য লোকের সাথে পানীয় বা খাবার শেয়ার করবেন না।
- বাচ্চার হাত ও মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। খাওয়ার আগে ও পরে, মলত্যাগের পর এবং খেলার পর হাত ধোয়া উচিত।
- বাচ্চাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ঔষধ দিতে হবে, যদি প্রয়োজন হয়। ব্যাকটেরিয়াল আমাশয়ের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হতে পারে, কিন্তু অ্যামিবিক আমাশয়ের ক্ষেত্রে অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল ঔষধ দরকার হতে পারে।
- বাচ্চার লক্ষণগুলি যদি ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা যদি রক্তসহ পাতলা পায়খানা, উচ্চ জ্বর, বমি, শরীরের শুকন, চোখের ভিতরের কালো দাগ, মুখের ভিতরের ঘা, বা চেতনাহারানো হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
আমাশয় একটি গুরুতর রোগ, যা যথাশীঘ্রই চিকিৎসা করা উচিত। এটি যদি উপসর্গহীন থাকে,
তাহলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ক্ষয়, শরীরের শুকন, রক্তের আক্রান্ততা,
মলাশয়ের আলসার, কোলনের ছিদ্র, কিডনির ক্ষতি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
তাই বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করার সময় উপরে উল্লেখিত কিছু উপায়
মেনে চলুন এবং ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
বাচ্চাদের আমাশয় হলে তাদের কিছু খাবার খাওয়া উচিত, যেগুলি পেটের জন্য ভালো এবং
পৌষ্টিক। বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত তার নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
দুধ ও দইঃ দুধ ও দই পেটের ব্যাকটেরিয়াদের স্বাস্থ্যকর রাখে এবং পাচন
ক্রিয়াকে উন্নত করে। দুধ ও দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও মাইনারাল সমৃদ্ধ।
চাল, দাল, সুপ ও খিচুড়িঃ চাল, দাল, সুপ ও খিচুড়ি পেটের জন্য
সহজসম্পাদনীয় এবং পৌষ্টিক খাবার। এগুলি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার,
ভিটামিন ও মাইনারাল সরবরাহ করে।
ফল ও শাকসবজিঃ ফল ও শাকসবজি ভিটামিন, মাইনারাল, ফাইবার,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্লাভনয়েড সমৃদ্ধ। এগুলি পেটের জন্য ভালো এবং রোগপ্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়।
বাচ্চাদের আমাশয় হলে তাদের কাঁচা বা অপরিষ্কার খাবার, তেলভরা বা মসলাদার খাবার,
কফি, চা বা কোলা এড় করতে হবে, কারণ এগুলি পেটের জন্য ক্ষতিকর এবং আমাশয়ের
লক্ষণগুলি বাড়াতে পারে।
৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়
৩ মাসের বাচ্চার জন্য আমাশয় হলে কিছু করণীয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
চিকিৎসার সাথে যোগাযোগ করাঃ প্রথমত, আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন
এবং তার পরামর্শ মেনে চলুন। ডাক্তার যে কোনো প্রয়োজনে আপনাকে ঠিকমতো নির্দেশ
দেবেন।
শিশুকে পরিস্কার রাখাঃ আমাশয়ের সমস্যা এড়ানোর জন্য পরিস্কার হাতের শাঁক
ব্যবহার করুন এবং শিশুর আশন্ন উপস্থিত অবস্থায় হাত ধোয়ার নির্দেশনা মেনে চলুন।
মায়ের খাবারঃ মায়ের প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী প্রতিদিন নিশ্চিত করুন এবং
খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার রাখা।
হাইড্রেশন বজায় রাখাঃ বাচ্চার ক্ষেত্রে হাইড্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাদের ধারণ দিন যাবত পানি দিয়ে তাদের শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহ করুন।
প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুনঃ যদি আপনি কোনো অস্থিরতা বা
অস্বস্থতা অনুভব করেন বা শিশুর অবস্থা সুধুই ভাল না হলে, তাহলে অবিলম্বে
ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
এই পরিস্থিতিতে সাবধানে থাকা এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
১ বছরের বাচ্চার আমাশয় হলে করণীয়
১ বছরের বাচ্চার আমাশয়ের সময়ে কিছু করণীয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
ডাক্তারের পরামর্শ নিনঃ যদি আপনি বাচ্চার আমাশয়ে কোনো লক্ষণ দেখেন যা
আপনার সাধারণ পর্যায়ের বাহিরে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
পরিস্কারভাবে খাবার প্রদান করুনঃ আপনার বাচ্চার জন্য পরিষ্কার, পুষ্টিকর
খাবার প্রদান করুন।
পর্যবেক্ষণ করুনঃ আপনি বাচ্চার শরীরের যেকোনো পরিবর্তন বা অস্বস্থতা নোট
করুন এবং ডাক্তারের সাথে সার্বিক আলাপ করুন।
হাইজিন মেরামতঃ আমাশয়ে ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য ক্ষতিকর জীবাণুগুলি সহজেই
ছড়াতে পারে। তাই, আপনার বাচ্চার হাইজিন মেরামত বজায় রাখুন।
পরিমিত খাবারঃ বাচ্চার আমাশয়ে ব্যবহৃত খাবার পরিমিত এবং পুষ্টিকর হতে
হবে।
পর্যবেক্ষণ করুনঃ বাচ্চার আমাশয় কোন উত্তেজনা বা অস্বস্থতা আপনি নোট
করেন।
মনে রাখবেন, আমাশয়ের সমস্যা গুলি গমন করার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা
করা গুরুত্বপূর্ণ।
১ মাসের শিশুর আমাশয় হলে করণীয়
১ মাসের শিশুর আমাশয়ের সময়ে কিছু করণীয় নিম্নে দেওয়া হলো।
ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুনঃ আপনি যদি শিশুর আমাশয়ে কোনো লক্ষণ অনুভব
করেন যেমন পেটের ব্যাথা, ক্রমবর্ধমান কাশি, ব্যাথা বা অস্বস্থতা, তাহলে অবিলম্বে
ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
পরিস্কারভাবে খাবার প্রদান করুনঃ শিশুদের প্রয়োজনীয় পোষণ প্রদান করতে
নিশ্চিত হোন। মা দুধ বা ফরমুলা দুধ দিতে যত বেশি সম্ভব।
পরিস্কারভাবে পানি প্রদান করুনঃ শিশুর আমাশয়ে হাইড্রেশন খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বোতলে স্তন্যপানের জন্য জরুরি প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি
দিন।
পরিস্কারভাবে খাবার প্রদান করুনঃ শিশুর খাবারের পরিমাণ ও প্রকারের সাথে
মিলতে হবে। সাধারণত, মা দুধের অতিরিক্ত কিছু সময় পর শিশুকে প্রাথমিক খাবার
প্রদান করা শুরু করা যেতে পারে।
পরিস্কারভাবে হাইজিন মেরামতঃ শিশুর চালিয়ে হাইজিন রাখা গুরুত্বপূর্ণ। হাত
ধোয়া, ব্যক্তিগত মুখের যোগান এবং পরিস্কারভাবে সব প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করা
উচিত।
পরিষ্কার রাখুনঃ শিশুদের আমাশয়ে পরিস্কারভাবে পরিষ্কার রাখা
গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পোষণ দেওয়া, পরিস্কার হাতের শাঁক ব্যবহার করা এবং পোষণ
সম্পর্কিত অন্যান্য সহায়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত।
আমাশয়ের সমস্যা সম্পর্কে যেকোনো সন্দেহ থাকলে বা যদি শিশুর অবস্থা ভাল না হয়,
তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
৮ মাসের বাচ্চার আমাশয় হলে করণীয়
৮ মাসের বাচ্চার আমাশয়ের সময়ে কিছু করণীয় নিম্নে দেওয়া হলো।
ডাক্তারের পরামর্শ নিনঃ যদি আপনি বাচ্চার আমাশয়ে যে কোনও অস্থিরতা বা
অস্বস্থতা অনুভব করেন, তা হলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
খাবারের পরিস্কারভাবে প্রদান করুনঃ বাচ্চার আমাশয়ে পরিষ্কার, পরিস্কার
খাবার দিন। শিশুদের প্রয়োজনীয় পোষণ প্রদান করতে নিশ্চিত হোন।
হাইজিন মেরামতঃ আমাশয়ের সমস্যাগুলি থেকে পরিস্কার রাখতে নিশ্চিত হোন। হাত
ধোয়া, স্থানীয় মুখের যোগান এবং প্রয়োজনীয় হাইজিন পণ্য ব্যবহার করুন।
পোষণের পরিমাণ দেখুনঃ বাচ্চার পোষণের পরিমাণ প্রতি দিন যত্ন সহকারে দেখুন।
উচিত পোষণ দিয়ে তাদের প্রাকৃতিক উন্নতি ও সুস্থতা বজায় রাখুন।
পরিস্কারভাবে পানি প্রদান করুনঃ বাচ্চার আমাশয়ে হাইড্রেশন খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ৮ মাসের শিশুর জন্য সাধারণত নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি প্রদান
করা হয়।
প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুনঃ যদি বাচ্চার আমাশয়ে কোন উত্তেজনা বা
অস্বস্থতা অনুভব করেন, অথবা যদি তার অবস্থা কোন ভাবেই ভাল না হয়, তাহলে অবিলম্বে
ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
আমাশয়ের সমস্যা গুলি সম্পর্কে যদি আরও তথ্য প্রয়োজন হয় বা যদি কোনও সন্দেহ
থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত নয়
বাচ্চাদের আমাশয় হলে কিছু খাবার খাওয়া উচিত নয়, যেগুলি পেটের জন্য ক্ষতিকর এবং
আমাশয়ের লক্ষণগুলি বাড়াতে পারে। এই খাবারগুলি হলো।
ফাস্টফুড জাতীয় খাবারঃ ফাস্টফুড জাতীয় খাবার তেলভরা, মসলাদার, রক্তচাপ ও
কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এগুলি পেটের ব্যাকটেরিয়াদের সন্তুলন ভাঙ্গে এবং আমাশয়
বাড়িয়ে দেয়।
চানাচুর, চিপস, নাড়ু, মিষ্টি ইত্যাদিঃ এই জাতীয় খাবারগুলি চর্বি, চিনি,
লবণ ও রঙ বাড়ানো উপাদান সমৃদ্ধ। এগুলি পেটের জন্য ভালো নয়, কারণ এগুলি পাচন
ক্রিয়াকে ধীর করে এবং আমাশয় বাড়িয়ে দেয়।
মশলাযুক্ত খাবারঃ মশলাযুক্ত খাবার পেটের জন্য ভালো নয়, কারণ এগুলি পেটের
এসিডিটি বাড়ায় এবং আমাশয় বাড়িয়ে দেয়।
বাসি খাবারঃ বাসি খাবার পেটের জন্য ভালো নয়, কারণ এগুলি বাচ্চাদের পেটে
ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে পারে এবং আমাশয় বাড়িয়ে দেয়।
বাচ্চাদের আমাশয় হলে তাদের পেটের জন্য ভালো এবং পৌষ্টিক খাবার খাওয়া উচিত, যেমন
দুধ, দই, চাল, দাল, সুপ, ফল ও শাকসবজি।এগুলি পেটের ব্যাকটেরিয়াদের স্বাস্থ্যকর
রাখে এবং পাচন ক্রিয়াকে উন্নত করে।
৬ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়
৬ মাসের বাচ্চার আমাশয়ের সময়ে কিছু করণীয় নিম্নে দেওয়া হলো।
ডাক্তারের পরামর্শ নিনঃ যদি আপনি আমাশয়ের লক্ষণ দেখুন বা আপনার বাচ্চা
অসুস্থ অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
খাবারের প্রদানঃ বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় পোষণ প্রদানের জন্য স্তন্যপান
করান। স্তন্যপান অপ্রয়োজনে আপনি প্রথম পাঁচ মাসের বাচ্চাদের জন্য প্রাথমিক খাবার
দেওয়া শুরু করতে পারেন।
পানি প্রদানঃ প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি প্রদান করুন। বাচ্চার
অদৃশ্য ডেহাইড্রেশন হতে সাবধান থাকুন।
পরিস্কারভাবে হাইজিন মেরামতঃ বাচ্চার পরিস্কারভাবে হাইজিন রাখুন। আমাশয়ের
জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকায় এবং হাত ধোয়ার পরিচিতি দিয়ে রাখুন।
অতিরিক্ত হাইড্রেশন প্রদানঃ শীতকালে বাচ্চার যত্ন নিতে হবে যেনি তারা যত্ন
করে অতিরিক্ত পানি পান করে।
পরিষ্কার রাখুনঃ বাচ্চার আমাশয় পরিস্কারভাবে পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন আমাশয় বিশেষভাবে পরিষ্কার করুন।
বাচ্চার আমাশয়ের সমস্যাগুলি সম্পর্কে যদি কোন সন্দেহ থাকে বা অস্বস্থ অনুভব
করেন, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শেষ কথাঃ বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
আজকের আর্টিকেলে বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এবং আমাশয় হলে করণীয়
পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এই তথ্যগুলো বাচ্চার
আমাশয় হলে বাচ্চার সুস্থতার জন্য আপনাকে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুনঃ ঠোটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম ক্লোভেট
আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই এটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করুন। ফলে এটি
অন্যদের আমাশয় সম্পর্কে সচেতন করবে। আর্টিকেলটি পুরোটা সহকারে পড়ার জন্য
ধন্যবাদ।
চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url