ডায়রিয়া হলে করণীয় কি - ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায়

প্রিয় পাঠক, ডায়রিয়া হলে করণীয় কি? বা ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আজকের আর্টিকেলে ডায়রিয়া হলে করণীয় কি এবং ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ডায়রিয়া হলে করণীয় কি - ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায়
সাধারণত, জীবাণু পেটে প্রবেশের ফলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা দেখা যায়। ডায়রিয়ায় একটি মৌলিক কারণ ডিহাইড্রেশনের ফলে বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে। তাই ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায় জানতে এবং ডায়রিয়া হলে করণীয় কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ ডায়রিয়া হলে করণীয় কি - ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায়

ভূমিকা

ডায়রিয়া হলে মানুষের পেট থেকে পাতলা ও ঘন ঘন পায়খানা হয়ে থাকে। এটি পেটের সংক্রামণের ফলে ঘটে এবং মালামূত্রের মাধ্যমে দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত পেটের ব্যাথা, বমি, পেটে ফোলা, জ্বর এবং মল নির্গত হতে পারে।
ডায়রিয়া হওয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে এটি ভালোভাবে চিকিৎসা ও যত্নে সমাধান পেতে সাহায্য করে। আজকের আর্টিকেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই ডায়রিয়া হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ুন।

ডায়রিয়া কি ও কিভাবে হয় ?

ডায়রিয়া হলো একটি পরিপাকতন্ত্রের ব্যাধি, যেখানে ব্যক্তি পাতলা, জলযুক্ত মল এবং ঘন ঘন মলত্যাগে পরিণত হয়। সাধারণত ডায়রিয়া বর্ষাকালে ঘটে, তবে অন্য ঋতুগুলিতেও এটি ঘটতে পারে। এটি সাধারণত এক থেকে তিন দিন ধরে থাকে এবং সাধারণত নিজেই ঠিক হয়ে যায়।
তবে, গুরুতর ডায়রিয়া ডিহাইড্রেশনের মতো বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঘটে, যা মলের সাথে ইলেক্ট্রোলাইট এবং জলের ক্ষতির কারণে ঘটে। যদি ডিহাইড্রেশন সময়ে সমাধান না করা হয়, তবে জীবনের ঝুঁকি হতে পারে। ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী বা খাদ্যের অসহিষ্ণুতা।

ডায়রিয়া রোগের লক্ষণ

ডায়রিয়া রোগ একটি প্রচলিত রোগ যা পানিশূন্যতা, মলত্যাগের অত্যন্ত বার্তা, ওজন হ্রাস, পেটের ব্যাথা, পেট ফোলা এবং অত্যন্ত মাথা ঘোরা সহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়। ডায়রিয়া শুরু হলে, ব্যক্তি অত্যন্ত অসুস্থ ও দুর্বল অনুভব করতে পারেন। ডায়রিয়ার মুখ্য লক্ষণ হলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

পায়খানা লাগাঃ পাতলা বা জলের মত পায়খানা বের হওয়া ডায়রিয়ার একটি মুখ্য লক্ষণ।

পেট ব্যাথাঃ অনুপ্রাণিত পেটের ব্যাথা এবং অনুকুল স্রাব অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

পেট ফোলাঃ পেট ফোলা এবং মাথা ঘোরা হতে পারে যা অত্যন্ত অসুখের একটি সাধারণ লক্ষণ।

বমি বমি ভাবঃ অনেক সময় ডায়রিয়ার সাথে একটি অস্বাভাবিক বমি-বমি ভাব অনুভব করা যায়।

অত্যন্ত প্রয়োজনে জল পানঃ ডায়রিয়া রোগে দেহ থেকে অত্যন্ত পরিমাণে জল হারানোর ফলে, অত্যন্ত প্রয়োজনে জল পান করা হতে পারে।

জ্বরঃ ডায়রিয়া রোগে অনেক সময় জ্বর হওয়া সাধারণ লক্ষণ।

এই লক্ষণগুলি সাধারণত পাচনের সমস্যার ফলে হয়, যেগুলি স্বাভাবিকভাবে পরিষ্কার হয় কিংবা প্রয়োজনে চিকিৎসা না হলে মোটামুটি এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। তবে, যদি লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে বাড়ছে বা অতিক্রম করছে, অথবা ডায়রিয়ার সাথে আরও গুরুতর লক্ষণ অনুভব করছেন, তবে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

ডায়রিয়া হলে করণীয় কি ?

ডায়রিয়া হলে কিছু করণীয় রয়েছে যাতে রোগীর অবস্থা পরিষ্কার হয়ে যায় এবং তার স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব না পড়ে। কিছু প্রধান করণীয় নিম্নরূপঃ

পর্যাপ্ত পানি খাওয়াঃ ডায়রিয়া হলে দেহ অনেক জল হারায়, তাই পর্যাপ্ত পানি খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিশ্রুতিমূলক পানি, যেমনঃ রেহাইড্রেশন সলিউশন, কোকোনাট ওয়াটার, যকৃত ফলস্বরূপ চাউলের পানি ইত্যাদি অত্যন্ত কার্যকরী।

সংবেদনশীলতা মেনে চলাঃ ডায়রিয়া রোগীদের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া এবং তাদের যত্ন নেওয়া উচিত যাতে তারা আরও সুস্থ হতে পারে।

খাবারের সতর্ক সেবনঃ ডায়রিয়া হলে সেবন করা খাবারের ধরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা নিজেরা খাবারের সতর্ক নির্বাচন করতে পারেন এবং স্থানীয় চিকিত্সকের সুপারিশ মোতাবেক অগ্রগতি করতে পারেন।

ডায়রিয়া এবং অন্যান্য রোগের উপসর্গ মেনে চলাঃ ডায়রিয়া হলে অন্যান্য সম্ভাব্য সংক্রমণের প্রতি সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

যত্ন ও পুনরায় হাত ধোয়াঃ ডায়রিয়ার রোগী প্রতিদিন হাত ধোয়া বা হাতে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে পারে যাতে সংক্রমণ সাধারণ উপায়ে ছড়াতে না পারে।

ভুল খাবার এবং পানি এড়িয়ে যাওয়াঃ খুব গরম এবং মসলা যুক্ত খাবার এবং কাপড়ের উপর ব্যতিক্রমণের মধ্যে পরিহার করা উচিত। বিশেষত, খুব কাঁচা ফল এবং আলচিনি এড়িয়ে যেতে পারে।

চিকিৎসা অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ করাঃ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এবং পরিচর্যা পেতে ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎকার করা উচিত। কোনো অন্যান্য চিকিৎসা সাহায্যের জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে পারেন।

সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, ডায়রিয়া হলে শীঘ্রই চিকিৎসার সাহায্যে স্বাস্থ্যকর হতে হবে যাতে সমস্যাটি গ্রহণকারী ও অগ্রগতিশীল হতে পারে।

ডায়রিয়া হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া হলে সঠিক খাবার খাওয়া অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ হয়। নিচে কিছু সাধারণ পরামর্শ দেওয়া হলো।
পরিমিত প্রোটিন ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াঃ ডায়রিয়ার সময়ে, সাধারণত প্রোটিন ও পুষ্টির সাথে খাবার খেতে ভালো হয়। ডায়রিয়া হলে দেহের প্রোটিন এবং পুষ্টি অতিরিক্ত কমে যেতে পারে।

শুকনা, পুষ্টিকর খাবারঃ শুকনা অথবা জলদ্বারা পুষ্টিকর খাবার যেমন সাদা চাল, টোস্ট, স্বাদিষ্ট সব্জি, স্যুপ, ডাল, রুটি ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

ফল খাওয়াঃ ডায়রিয়ার সময়ে প্রথমে সাদা ফল যেমন কেলা, পুকুরা আম, নাশপাতি, আঙ্গুর ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

গরম খাবার এবং মসলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাঃ ডায়রিয়ার সময়ে, মসলা যুক্ত খাবার এবং গরম খাবারের প্রাথমিকতা কমাতে হবে।

দূধ এবং দুধ সংমিশ্রিত খাবার এড়িয়ে যেতে হবেঃ ডায়রিয়ার সময়ে দুধ, দই, পানির দ্রব্যাংশ সংমিশ্রিত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

এই পরামর্শগুলি গুরুত্বপূর্ণ তবে কাজ না হলে, চিকিৎসকের সাথে সাক্ষাৎ করা উচিত। তাঁরা আপনাকে উপযুক্ত খাবারের পরামর্শ দেবেন এবং আপনার অবস্থার উপর ভিত্তি করে আপনার পোষণাদিকের পরিবর্তন করতে সাহায্য করবেন।

ডায়রিয়া হলে কি খাবার না খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া হলে কিছু খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ তা আপনার শারীরিক স্থিতির প্রভাব পড়ে এবং ডায়রিয়ার সাময়িক অবস্থার উপর নির্ভর করে। কিছু খাবার যেগুলি ডায়রিয়ার অবস্থায় অতি সতর্কতার সাথে গ্রহণ করা উচিত। ডায়রিয়া হলে নিম্নোক্ত খাবার গুলো গ্রহণ করা উচিত নয় ।

বিভিন্ন ধরণের খাবার যেমন ফাস্ট ফুড, পুডিং, সোডাঃ ফাস্ট ফুড, পুডিং, সোডা ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত খাবার যেমন ব্যাকটেরিয়া এবং বিষাক্ত পদার্থের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং ডায়রিয়ার সময়ে খেতে উচিত না।

গরম মসলা যুক্ত খাবারঃ গরম মসলা যুক্ত খাবার ডায়রিয়ার লক্ষণ প্রবৃদ্ধি করতে পারে এবং পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টি দ্রব্যঃ অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার ডায়রিয়ার লক্ষণ প্রবৃদ্ধি করতে পারে এবং পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রাকৃতিক রং এবং পরিবেশে এড়িয়ে যাওয়া খাবারঃ ডায়রিয়ার সময়ে প্রাকৃতিক রং এবং পরিবেশে এড়িয়ে যাওয়া খাবারের প্রভাব ডায়রিয়ার অবস্থার সুধার করতে পারে।

প্রকৃত গ্যাসোজেনিক পদার্থঃ ডায়রিয়ার সময়ে গ্যাসোজেনিক পদার্থের ব্যবহার সীমিত করা উচিত। যেমন, সোডা, কোলা, ক্যার্বনেটেড পানি ইত্যাদি।

প্রযুক্ত ও প্রস্তুত খাবারঃ প্রযুক্ত ও প্রস্তুত খাবারের প্রভাব ডায়রিয়ার লক্ষণ প্রবৃদ্ধি করতে পারে।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য উপরে উল্লিখিত খাবারের সাথে সংগতিপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা উচিত না। এই ধরনের খাবারের সাথে সার্বিকভাবে পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা এবং তার পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন।

ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায়

ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যক্রম অনুসরণ করা উচিত, তবে সবারই জন্য একই সমাধান কার্যকর হতে পারে না। কিছু সাধারণ উপায় এই মধ্যে প্রয়োজনীয় হতে পারে। ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায় নিম্নলিখিতঃ

পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ ডায়রিয়ার ফলে দেহের তরলতা হারানো হয়। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি যাতে তরলতা পূরণ হয়।

ইলেক্ট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণঃ ডায়রিয়ার ফলে ইলেক্ট্রোলাইট হারানো হতে পারে, যা দেহের সামগ্রিক প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইলেক্ট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।

ভুল খাবার এবং পানি এড়িয়ে যাওয়াঃ খুব গরম এবং মসলা যুক্ত খাবার এবং কাপড়ের উপর ব্যতিক্রমণের মধ্যে পরিহার করা উচিত।

উপযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়াঃ ডায়রিয়ার সময়ে, সাধারণত প্রোটিন এবং পুষ্টির সাথে খাবার খেতে ভালো হয়। পরিমিত প্রোটিন এবং পুষ্টিকর খাবার যেমন রুটি, ডাল, সাদা চাল, স্যুপ, সবজি ইত্যাদি খেতে উচিত।

অতিরিক্ত মসলা এবং গরম খাবার এড়িয়ে খাওয়া উচিত নয়ঃ মসলা যুক্ত খাবার এবং গরম খাবারের প্রাথমিকতা কমাতে হবে।

চিকিৎসা অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ করাঃ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এবং পরিচর্যা পেতে ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎকার করা উচিত। কোনো অন্যান্য চিকিৎসা সাহায্যের জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে পারেন।

এই সমস্যার সাহায্যের জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনাকে আপনার ক্ষেত্রে যে সম্ভাব্য পদক্ষেপ তা গ্রহণ করতে সাহায্য করবেন।

ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা

ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা হল দেহের জল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা। এর জন্য ওআরএস এর জল, লবণ ও চিনি মিশ্রিত জল, স্পোর্টস পানীয়, দই, আলু, চাল ও পাতলা ডালের জল পান করা উচিত। ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিম্নলিখিত উপায়ে সম্ভব।

পর্যাপ্ত তরল অধিগ্রহণঃ ডায়রিয়া সময়ে, তরল অধিগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিমাণ যেন হারিয়ে যাওয়া তরল পূরণ করা হোক।

ইলেক্ট্রোলাইট পূরণঃ ডায়রিয়ার সময়ে শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলাইট ও মিনারেল হারায়, তাই ইলেক্ট্রোলাইট সহিত পানি অধিকতর পান করা হয়।

পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারঃ সহ্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত, যেমন বানান, টোস্ট, স্যুপ, ডাল, পুদিনা চা, খিচুড়ি, ইত্যাদি।

প্রেস্ক্রিপশন ও পরামর্শঃ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অধিকতর প্রয়োজন। কিছু প্রোবাইটিক বা প্রেসক্রাইবড মেডিসিন যেমন লোপারামাইড, স্মেক্তা, আলোপাজোল ইত্যাদি ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে।

অতিরিক্ত যত্নঃ ডায়রিয়ার সময়ে ব্যক্তিগত যত্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কারভাবে হাত ধোয়া, যত্ন নেওয়া খাবার খেতে।

আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ কারণে, ডায়রিয়া সময়ে চিকিৎসার পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেইসাথে, ডায়রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ না হলেও যত্নশীলতা অবলম্বন করা উচিত।

ডাক্তারের কাছে কখন যাবেন?

আপনি ডায়রিয়ার লক্ষণ অনুভব করলে অবিলম্বে একজন চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। কিছু পরিস্থিতিতে, এটি জরুরী হতে পারে, যেমনঃ
  • যদি আপনি খুব বেশি তরল হারিয়ে যাচ্ছেন এবং ডেহাইড্রেশনের লক্ষণ অনুভব করছেন, যেমন শুকনা ত্বক, তৃষ্ণা, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, বিব্রত অবস্থা ইত্যাদি।
  • যদি আপনি অত্যন্ত ব্যাথিত হন, কাঁচা বা সিউশনাল মলে রক্ত বা শ্লেষ্মা দেখছেন।
  • যদি আপনার বা আপনার প্রিয়জনের অবস্থা গম্ভীর হয় বা অপরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
  • এছাড়াও, আপনার যদি কোনও ক্ষুধামতি, গুড়া বা চাপ হারিয়ে যাওয়ার লক্ষণ অনুভব করেন বা আপনার কোনও নিম্নবয়সী বা বৃদ্ধ প্রিয়জনের ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তবে তাদের জরুরী চিকিৎসা প্রয়োজন।
আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে টেলিমেডিসিন বা স্বাস্থ্য পরামর্শের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সবসময় আপনার স্থানীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার কেন্দ্র বা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

শেষ কথাঃ ডায়রিয়া হলে করণীয় কি - ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায়

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে ডায়রিয়া সম্পর্কিত সকল বিষয় এবং ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও ডায়রিয়া হলে কখন ডক্টরের পরামর্শ নিবেন সে বিষয়েও ধারণা দিয়েছি। আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ডায়রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য সাহায্য অনুরোধ করবেন যখন আপনার লক্ষণ গুরুতর বা প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রয়োজন হবে। আপনার সুস্থ এবং নিরাপদ লাইফ কামনা করি। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url