বীর্য বৃদ্ধির উপায় - বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে
বীর্য বৃদ্ধির উপায় ও বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে এ সম্পর্কে অনেকেই জানেনা।
যার ফলে তারা তাদের অজান্তেই বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠছে। পুরুষদের শরীরে
বীর্যের পরিমাণ কম থাকলে কিছু বীর্য বৃদ্ধির উপায় রয়েছে, যা অনুসরণ করার ফলে
খুব দ্রুত বীর্য বৃদ্ধি পাবে।
বীর্য বৃদ্ধির উপায় কি এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়লে আপনি বীর্য বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাবেন।
এছাড়াও বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে এ সম্পর্কে জেনে থাকা ভালো।
পেজ সূচিপত্রঃ বীর্য বৃদ্ধির উপায় - বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে
বীর্য বৃদ্ধির উপায়
বীর্য শুধু যৌন চাহিদায় ভূমিকা রাখেনা এটি সন্তান গ্রহণের জন্য খুব বড় ভূমিকা
পালন করে। পুরুষদের বীর্য কম থাকলে যৌনজীবনে পুরোপুরি তৃপ্তি মিলে না একই সঙ্গে
এটি বন্ধ্যাত্বের একটি বড় কারণ। তাই যে সব পুরুষদের বীর্য কম থাকে তারা বীর্য
বৃদ্ধির উপায় গুলো কি এই সম্পর্কে জানতে চাই।
এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে পুরুষদের
বীর্য বৃদ্ধি পাবে। বীর্য বৃদ্ধি পেলে যৌন তৃপ্তি পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে
পারবে। এবং সন্তান উৎপাদনের জন্য কোন সমস্যা থাকবে না। নিচে বীর্য বৃদ্ধির উপায়
গুলো আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুন: পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম
রসুনঃ বীর্যের সক্রিয়তা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর
একটি উপাদান সেলোনিয়াম। এ উপাদান টি পাওয়া যায় রসুনে। তাই নিয়মিত রসুন খেলে
বীর্য বৃদ্ধি পাবে এবং একই সাথে কামশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
ভিটামিন সিঃ যে ধরনের ফলগুলোতে ভিটামিন সি সবচেয়ে বেশি থাকে সে জাতীয়
ফলগুলো বীর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায় লেবু,
আঙ্গুর এবং বিভিন্ন টক জাতীয় ফল। এ ফলগুলোতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়
তা বীর্যের মান বাড়াতে সাহায্য করে।
সামুদ্রিক বা তৈলাক্ত মাছঃ সামুদ্রিক বা তৈলাক্ত মাছে পাওয়া যায় ওমেগা ৩
ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা ৩ পুরুষদের ব্রীজের মান বাড়াতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
তাই নিয়মিত সামুদ্রিক বা তৈলাক্ত মাছ খেলে বীর্য বৃদ্ধি পাবে।
কলাঃ কলাতে পাওয়া যায় ভিটামিন বি৬ এবং আরো অনেক উপাদান। যার ফলে কলা
বীর্য বৃদ্ধিতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় একটি করে
কলা রাখুন।
ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে
থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে বীর্য সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন অল্প কিছু
সময়ের জন্য হলেও ব্যায়াম করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবারঃ যৌন শক্তি উন্নতি করতে চাইলে প্রতিদিন সঠিক সময়ে
খাবার গ্রহণ করুন। মদ্যপান সিগারেট এগুলো থেকে দূরে থাকুন। অতিরিক্ত পরিমাণে
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না। যে ধরনের খাবারগুলোতে জিংকের পরিমাণ
বেশি সে ধরনের খাবারগুলো গ্রহণ করুন।
ডার্ক চকলেটঃ যৌন শক্তি এবং বীর্য বৃদ্ধি করার জন্য যে পরিমাণ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রয়োজন তা পাওয়া যায় ডার্ক চকলেটে। এছাড়াও HCL এবং
অ্যামিনো এসিড পাওয়া যায় এই চকলেটে। যার ফলে এটি বীর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিম
বীর্য বৃদ্ধির উপায় কি বা কিভাবে বীর্য বৃদ্ধি করা যায় আশা করি এ সম্পর্কে একটি
পুরোপুরি ধারণা পেয়েছেন। উপরোক্ত খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে অতি দ্রুত আপনার
বীর্য বৃদ্ধি হবে।
বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে সহবাসের পর আমাদের শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বীর্য
নির্গত হয়। তাহলে নতুন বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে? চিকিৎসকের মতে, আমাদের
শরীরে নতুন বীর্য তৈরি হতে সময় নেই 64 দিন। পুরুষদের শরীরে বীর্য তৈরির
কার্যক্ষমতা সব সময় বিরাজ করে। প্রত্যেকটি পুরুষের শরীরে প্রতিদিন কয়েক
বিলিয়ন বীর্য উৎপন্ন হয়। এক ফোঁটা বীর্য উৎপাদন করতে আমাদের শরীরের সময় লাগে
প্রায় ৭২ ঘন্টা।
কি খেলে শুক্রানু বাড়ে
পুরুষের শুক্রাণু কমে গেলে তাদের সন্তান লাভের আশা কমে যায়। WHO এর মতে, একজন
পুরুষের এক মিলি লিটারে ১৫ মিলিয়ন শুক্রানু থাকা প্রয়োজন। এর কম হলে এটি
স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, পুরুষদের শরীরে
ভিটামিন এবং জিংক এর পরিমাণ কম থাকলে সে পুরুষের বন্ধুত্ব হওয়ার সম্ভাবনা অনেক
বেশি। অর্থাৎ পুরুষদের খাদ্য অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে এই শুকানোর মান বেড়ে
যাবে।
আরো পড়ুন: রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম
আমরা এই আর্টিকেলে আর্টিকেলে আলোচনা করব কি খেলে শুক্রানু বাড়ে এ সম্পর্কে
বিস্তারিত। কিছু চিকিৎসকের মতে নিচের খাবারগুলো গ্রহণ করলে শুক্রানুর সংখ্যা
বেড়ে যাবে।
ডার্ক চকলেটঃ যৌন শক্তি এবং শুক্রানু বৃদ্ধি করার জন্য যে পরিমাণ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রয়োজন তা পাওয়া যায় ডার্ক চকলেটে। এছাড়াও HCL এবং
অ্যামিনো এসিড পাওয়া যায় এই চকলেটে। যার ফলে এটি শুক্রানু বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে।
টমেটোঃ টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন নামক
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুক্রানু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
টমেটো কাঁচা এবং রান্না উভয় অবস্থায় খেতে পারেন।
কাঠবাদামঃ কাঠ বাদামে পাওয়া যায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতিদিন খাবার
তালিকা কিছু বাদাম রাখুন এটি শুক্রাণুর মান বাড়াতে সাহায্য করে।
ডালঃ ডালে পাওয়া যায় ফলিক অ্যাসিড। তাই এটি শুক্রানু বাড়াতে সাহায্য
করে।
আনারঃ আনারে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই আনারের
রস খেলে মহিলা এবং পুরুষের উভয়ের যৌন চাহিদা বেড়ে যায়।
মধু এবং দুধঃ প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে এক থেকে দুই চামচ মধু মিশিয়ে
খেলে শুক্রানুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
কুমড়োর বীজঃ কাঁচা কুমড়োর বীজ খাওয়া ভালো। এটি পুরুষের শরীরে
স্বাস্থ্যকর টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করে।
ডিমঃ ডিমে পাওয়া যায় ভিটামিন ই এবং প্রোটিন। যার ফলে প্রতিদিন ডিম খেলে
শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
জিংক জাতীয় খাবারঃ যে সকল খাবারগুলোতে জিংক এর পরিমাণ বেশি থাকে এ ধরনের
খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
কি খেলে বীর্য দেরিতে বের হবে
অনেক পুরুষদের একটি সাধারণ সমস্যা হল যৌন মিলনের সময় খুব দ্রুত বীর্য বের হয়ে
যায়। যার ফলে সে তার সঙ্গিনীকে সম্পন্ন তৃপ্তি দিতে পারে না। এজন্য অনেকেই জানতে
চাই কি খেলে বীর্য দেরিতে বের হবে? আপনি যদি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন
তাহলে আপনি উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করতে পারেন। এরপরে যদি আপনার এ সমস্যার
সমাধান না হয় তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ বীর্য বৃদ্ধির উপায় - বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে
আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি বীর্য বৃদ্ধির উপায় এবং পুরুষদের শরীরে
বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে এ সম্পর্কে বিস্তারিত। পুরুষদের শরীরে বীর্য কম
থাকলে তাদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা থাকে না। তাই যে সব পুরুষরা বীর্য বা
শুক্রাণু কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় এ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা করছেন তাদের জন্য এই
আর্টিকেলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। এবং আমাদের আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা
কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url