রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম বাজারে অভাব নেই। কিন্তু কোন ক্রিমটি কার্যকরী তা হয়তো অনেকেই জানেনা। না জেনে বা না বুঝেই অনেকেই রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম একাধিকটা ব্যবহার করে ফেলেছে কিন্তু ফলাফল শূন্য। তাই এই আর্টিকেলে রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম কোনটি কার্যকরী সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম জানার পাশাপাশি আপনাদের জেনে থাকা উচিত রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় কি? যারা রানের চিপায় চুলকানি নিয়ে দিন পার করছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা। যেকোনো ব্যক্তি এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু রানের চিপায় চুলকানি একটি অস্বস্তিকার এবং লজ্জা জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তাই অনেকেই রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে চাই। আমরা এই আর্টিকেলে বিভিন্ন ধরনের রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম আলোচনা করব।

যেসব ব্যক্তিরা রানের চিপায় চুলকানি নিয়ে অস্থির দিন পার করছেন তাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন দূর রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং শরীরের বিভিন্ন চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম।

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম হিসাবে দুইটি ক্রিম এর নাম উল্লেখ করেন।

• পেভিসন
• ডারমাসল এন

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার জন্য এই দুইটি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি চুলকানি দূর হয়ে যাবে।

যদি রানের চিপায় চুলকানি অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় এবং এই ক্রিম ব্যবহার করার ফলেও চুলকানি না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ উপরোক্ত ক্রিমগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করার পর আর ব্যবহার করা যায় না।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম অনেকে জানতে চাই। কিন্তু কিছু রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার রানের চিপার চুলকানি দূর হয়ে যেতে পারে। কোন ধরনের ওষুধ বা ক্রিমের ব্যবহার ছাড়াই। চলুন জেনে নিই এই সম্পর্কে বিস্তারিত।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহঃ

নারিকেল তেলঃ রানের চিপায় যে জায়গায় চুলকানি হয় সে জায়গায় আপনি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুলকানির স্থানে কিছু সময় ধরে নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন চুলকানি দূর হয়ে যাবে খুব দ্রুত।

লেবুর রসঃ চুলকানির স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে রাখুন। লেবুর রস চুলকানি দূর করতে খুব সাহায্য করে।

বরফঃ রানের চিপার অতিরিক্ত চুলকানি দূর করার জন্য আপনি ঠান্ডা বরফ ব্যবহার করতে পারেন। কিছুক্ষণ ঠান্ডা বরফ আক্রান্ত স্থানে ধরে থাকলে দেখবেন চুলকানি দূর হয়ে যাচ্ছে।

অ্যালোভেরা জেলঃ চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেলের গুরুত্ব অপরিসীম। আক্রান্ত স্থানে এলোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।

সহবাস পরিত্যাগঃ রানের চিপায় চুলকানি থাকা অবস্থায় সহবাস থেকে দূরে থাকুন।

ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলুনঃ রানের চিপায় চুলকানি দূর করার জন্য অবশ্য আপনাকে ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলতে হবে অর্থাৎ বেশি সময় ধরে থাকবেন ভেজা কাপড় পড়ে থাকবেন না।

রানের চিপে চুলকানি দূর করার জন্য উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন। এবং অতিরিক্ত চুলকানি হলে এবং দ্রুত চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম পেভিসন ব্যবহার করতে পারেন।

অনেক সময় নানা কারণে আমাদের রানের চিপায় চুলকানি শুরু হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় এ চুলকানি দূর করার জন্য আপনি পেভিসন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এই ক্রিমটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে মেসেজ করুন। আশা করি আপনার রানের চিপায় চুলকানি দূর হয়ে যাবে। ক্রিম ব্যবহার করার পরেও যদি আপনার চুলকানি অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন।

সাধারণত যেকোনো ওষুধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে যেকোন ওষুধ সেবন করবেন না। চিকিৎসগণ আক্রান্ত স্থানের অবস্থান দেখে ওষুধ দিয়ে থাকে। চুলকানি দূর করার একটি ওষুধ হল Deslor 5mg অনেক চিকিৎসকগণ এই ওষুধটি দুই বেলা খাবারের পর খাওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকে।

সতর্কতা: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন। অবশ্যই যে কোন ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিত না।

চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম জানতে চাইলে অনেক ধরনের ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সব ক্রিম চুলকানি দূর করার জন্য কার্যকরী নয়। আমরা আলোচনা করব কিছু কার্যকরী চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম।

• Licerin Cream
• Fungin Cream
• Dermasol N Cream
• Bet CL Cream
• Ezex Cream
• Pevisone Cream
• Fungidal Cream

উপরোক্ত ক্রিমগুলো চুলকানি দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। শরীরে অতিরিক্ত চুলকানি এবং চুলকানির ফলে যদি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয় তাহলে এই ক্রিম গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহারের মাধ্যমে দূর হয়ে যাবে। ক্রিম গুলো ব্যবহারের নিয়ম হলো প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ধরে ম্যাসাজ করবেন। অবশ্যই ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করবেন। অতিরিক্ত চুলকানি দূর করার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন।

যেকোনো সময় যেকোনো ব্যাক্তি যেকোনো ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে যেকোনো ধরনের চুলকানি বা দাউদ হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় রানের চিপায় দাউদ হয়েছে। এই সমস্যাটি বেশ অস্বস্তিকর এবং লজ্জা জনক। দাদ হলে শরীরের চুলকানি বেড়ে যায়। তাই এই আর্টিকেলে রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয় কি এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমেরানের চিপায় দাউদ দূর করা যায়।

মধুঃ আপনার ঘরের মধু পারে আপনার দাউদ দূর করতে। গবেষণায় দেখা যায় রানের চিপার দাউদ দূর করার ক্ষেত্রে মধু খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত এই মধু বেশ কয়েকদিন ধরে আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাউদ দূর হয়ে যাবে খুব দ্রুত।

অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরায় পাওয়া যায় অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং মাইক্রোবিয়াল। যার ফলে এলোভেরা আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাউদ দূর হয়ে যাবে।

ভিটামিন ইঃ রানের চিপার দাউদ দূর করার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ই। প্রতিদিন খাবার তালিকায় ভিটামিন ই জাতীয় খাবার রাখুন।

চুলকানি একটি বড় সমস্যা। আমরা অনেকেই চুলকানিতে অস্থির হয়ে পড়ি যার ফলে যেকোনো ধরনের ক্রিম না জেনে বা না বুঝেই ব্যবহার করে থাকি। এটি করা উচিত না। কারণ চুলকানি এক ধরনের হয় না। একেক ব্যক্তির একেক ধরনের চুলকানি হয়ে থাকে। কিন্তু চুলকানি দূর করার জন্য খুব কার্যকরী ক্রিম হলো পেভিসন।

এটি আপনি রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় চুলকানি দূর করার জন্য। কিন্তু তা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত না।