ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠার সাথে সাথে বর্তমান সময়ে ছাত্রদের মোবাইল ফোন অনেক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে যেমন অনলাইন ক্লাস ও ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য বের করা ইত্যাদি। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রীর কাছে মোবাইল ফোন থাকা বেশ জরুরী। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ছাত্রদের অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই আর্টিকেল আমরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা আর্টিকেল এ আমরা আরও জানব ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে। ব সময়ে আমাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার যেন জরুরি হয়ে পড়েছে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক লোক পর্যন্ত সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে এবং এটি আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছাত্রদের মোবাইল ফোন অনেক কাজে প্রয়োজন হয় কিন্তু এ প্রয়োজনের পাশাপাশি তাদের অজান্তেই অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
পেজ সূচিপত্র: ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা বলতে গেলে বলা যায় ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাই উচিত। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনে ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ছাত্র জীবনে ফোন ব্যবহার করা উচিত না। যেমন আপনার অনলাইন ক্লাস এর প্রয়োজন হলে শুধুমাত্র সেই সময়টুকু আপনি ফোন ব্যবহার করবেন এছাড়া ইন্টারনেটে অনেক ধরনের তথ্য জানার প্রয়োজন হলে সে সময়টুকু ছাত্রদের ফোন ব্যবহার করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়
আপনি যদি একজন ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার সন্তানের খেয়াল রাখতে হবে। আপনি খেয়াল করে দেখবেন আপনার সন্তান অনলাইন ক্লাস করার অজুহাতে মোবাইল ফোন নিয়ে অপব্যবহার করছে কিনা বা সে মোবাইলে ভিডিও দেখছি কিনা। এমনকি অনেককে দেখা যায় গেমস খেলার নেশা থাকে যার কারণে তারা যেকোনো অজুহাতে মোবাইল ফোন হাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা কেমন সময় দিচ্ছে এদিকে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
কারণ অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে আপনার সন্তানের লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ আসবেনা। এবং অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে এক সময়ে এটি তার নেশা হয়ে দাঁড়াবে। যার কারণে সে বন্ধু-বান্ধব এবং খেলাধুলায় ও সহপাঠীদের এড়িয়ে চলবে। বর্তমান সময়ে কিছু অনলাইন গেমস আছে যা নেশার মতো কাজ করে এই গেমস খেলায় আসক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। ছাত্র জীবনে সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এ সময়ে মোবাইলে গেমস খেলা বা সোশ্যাল মিডিয়ার টাইম পার করা এবং ভিডিও দেখে নষ্ট করার সময় না।
এ সময়টাতে আপনার সন্তানকে একজন মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। আপনি প্রতিদিন তাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাইরে ফুটবল বা ক্রিকেট অথবা অন্যান্য খেলা খেলার সুযোগ দিন। ছাত্র জীবনে মোবাইল ব্যবহার করলে সে অল্প বয়সেই ইন্টারনেটের অনেক কিছু জেনে যাবে এবং দেখা যাবে খুব কম বয়সেই সে পর্ন দেখা শুরু করেছে। যা তার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। এছাড়াও চোখের ক্ষতি হতে পারে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে।
গবেষণায় দেখা যায়, কম বয়সে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে তাদের মাথায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে দেখা যায় তারা ছাত্র বয়সে অধিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে লেখা পড়ায় যথেষ্ট মনোযোগ দিতে পারে না এবং পড়া মনে রাখতে পারে না এটির প্রভাব পড়ে তার কর্মজীবনে। অনেক চেষ্টার পরও দেখা যায় চাকরি মিলে না কারণ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে সে পড়া মনে রাখতে পারছে না। অর্থাৎ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা অনেক বেশি। তাই এই সময়টুকুতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
আমরা ওপরে আলোচনা করেছি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে। প্রত্যেকটি জিনিসের একটি ভালো এবং একটি খারাপ দিক রয়েছে এবার আমরা আলোচনা করব ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ফোন থাকার কারণে আমাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মোবাইল ফোন আরো আপডেট করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়
এক্ষেত্রে আমাদের উপকার থাকলেও এর অপকার অনেক বেশি। তবে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অস্বীকার করা যায় না। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন থাকার কারণে অনেক বেকার কর্মজীবী হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেকেই ছাত্র জীবন থেকে ইনকাম করা শুরু করে দিয়েছে যা তার পরিবারের জন্য আশীর্বাদ। চলুন নিচে জেনে নিই মোবাইল ফোনের উপকারিতা
শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার আমাদের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য এই মোবাইল ফোন খুব প্রয়োজন। ২০১৯ সালে যখন করোনা মহামারি আকার ধারণ করে তখন ছাত্রদের একমাত্র ভরসা ছিল এই অনলাইন ক্লাস। শুধু ছাত্রদের ক্ষেত্রে বললেই ভুল হবে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরো অনেক ক্ষেত্রে যেমন অফিস আদালত, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন মিটিংয়ে।
শিক্ষার্থীদের অনেক জানা অজানা প্রশ্নের উত্তর মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যাই মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটে। অর্থাৎ বলা চলে মোবাইল ফোন শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা এর চেয়ে উপকারিতা বেশি।
যোগাযোগ ক্ষেত্রেঃ কর্মব্যস্তময় জীবনে পেটের তাগিদে মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করতে হয়। ছাত্রদের বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য বা বিভিন্ন কাজে শিক্ষক বা সহপাঠীদের যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ফোন প্রয়োজন। একটি মোবাইল ফোন থাকলে একজন ছাত্র তার প্রয়োজনও কোন তথ্য জানার জন্য কোন বন্ধু, শিক্ষক বা আত্মীয়-স্বজন এদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে হয়তো সে তথ্যটি খুব দ্রুত পেতে পারেন।
এছাড়াও সাধারণ মানুষের কাছে যোগাযোগের উত্তম পদ্ধতি হলো মোবাইল ফোন। যার কারণে সে দেশ-বিদেশের যেকোন আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন খুব দ্রুত অনেক সময় ভিডিও কলের মাধ্যমে একে অপরের চেহারা দেখতে পায়।
জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রেঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে প্রায় সবাই পরিচিত। এখানে আপনি অনেক ধরনের তথ্য পেতে পারেন যা আপনার জন্য খুব উপকারী এবং একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। সমস্ত পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারে এই একটি মাত্র মাধ্যম মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন আপনি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন আর খারাপ ভাবে ব্যবহার করলে এর অপকারিতা অনেক বেশি।
অর্থ উপার্জনঃ একটি মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে ছাত্র জীবন থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা মোবাইল ফোনে অনেক ধরনের ভিডিও দেখে ইনকাম করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন এবং অনেকেই ইনকাম করছেন। একবার ভাবুন তো আপনি নিজে টাকা উপার্জন করছেন এবং সে টাকা দিয়ে আপনি আপনার নিজের লেখা পড়া এবং যাবতীয় খরচ বহন করছেন কেমন লাগবে আপনার?
অনেক ভালো লাগবে না। অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে কিন্তু আপনি ভাবছেন এটা কিভাবে করা সম্ভব? সম্ভব, একটি মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি শিক্ষামূলক ভিডিও করতে পারেন এবং সেই ভিডিওগুলো আপনি ইউটিউব ফেসবুক এ পাবলিশ করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়া আর্টিকেল রাইটিং এর কাজও আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারেন।
ওপরে আপনি জানতে পারলেন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে। যদি আপনি মোবাইল ফোনটি ভালো কাজে লাগান তাহলে আপনি অবশ্যই এখান থেকে ভালো কিছু পাবেন। একটি মোবাইল ফোন আপনাকে এনে দিতে পারে জীবনের সফলতা আবার এনে দিতে পারে বিষন্নতা। এটি নির্ভর করছে আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপরে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা রয়েছে তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সমস্যায় পড়ছেন অনেক মোবাইল ব্যবহারকারী। চলুন জেনে নিই মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো।
আরো পড়ুনঃ মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করার উপায়
চোখের ক্ষতিঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে চোখে জ্যোতি কমে যেতে পারে। আপনি যদি একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাহলে সেটি আপনার চোখ থেকে নূন্যতম ৩০ সেন্টিমিটার দূরে রেখে ব্যবহার করবেন। আপনি যদি খুব কাছ থেকে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং এটি অতিরিক্ত সময় ধরে ব্যবহার করছেন তাহলে আপনার বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। গবেষকরা দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন।
কম শোনাঃ অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে কানে কম শুনতে দেখা যায়। অবশ্যই এটি নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের ওপর আপনি যদি হেডফোন ব্যবহার করে অতিরিক্ত জোরে সাউন্ড দিয়ে গান শুনেন তাহলে এটি আপনার কানের কোষ গুলোর ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে এবং মস্তিষ্ক চলাচল অস্বাভাবিক করে তুলে। এভাবে চলতে থাকলে একটি সময়ের পর আপনি বধির হয়ে যাবেন।
শুক্রানু কমঃ গবেষকরা গবেষণা করে জানিয়েছে, মোবাইল ফোনে থাকে হাই ফ্রিকুয়েন্সির ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েন্স। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী যখন অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তখন এই রেডিয়েন্ট স নির্গত হতে থাকে। যার ফলে এটি মস্তিষ্কে ক্যান্সারের সাথে যোগসূত্র বাঁধিয়ে ফেলে এবং দেখা যায় যে শরীরের অন্যান্য অংশে ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাব সৃষ্টি করে যার ফলে পুরুষের প্রজননতন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। গবেষকরা বলে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে পুরুষের শুক্রানুর ঘনত্ব কমে যায়।
ঘুমের ব্যাঘাতঃ অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ ও ট্যাবলেট ব্যবহার করার ফলে দেখা যায় তাদের ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি হয়। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এ ধরনের যন্ত্র অধিক মাত্রায় ব্যবহার করলে তাদের শরীরে দেখা যায় মেলাটোনিনীর ঘাটতি। এ কারণে ঘুমের মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা
মোবাইল ফোনের অপকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। মোবাইল ফোন আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র হয়ে উঠেছে। অবশ্যই এটি সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি জীবনের সফলতা পেতে পারেন। এবং বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য অবশ্যই মোবাইল ফোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে ওপরে লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় যন্ত্র হলো মোবাইল ফোন। আমরা প্রতিদিন এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে থাকি। মোবাইল ফোন একেক জন একেক কাজে ব্যবহার করে থাকে কেউবা অফিসের কাজে, কেউ হয়তো শিক্ষা ক্ষেত্রে, কেউবা ইনকাম করার জন্য, এমনকি কেউ ব্যবহার করে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য। তবে আমরা যে কাজেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি না কেন মোবাইল ফোনে রয়েছে ক্ষতিকর রেডিয়েন্স যা আমাদের সবার জন্য খুব ক্ষতিকর। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা জানার সাথে সাথে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- হাঁটতে হাঁটতে মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
- ফোনের রিংটোন বাজার পর কল রিসিভ করে সেটি কানে ধরুন। কথা বলার সময় আপনি হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন।
- মোবাইলে কম কথা বলুন। অতিরিক্ত কথা বলার ফলে মোবাইলের হায় রেডিয়েশন বেশি নির্গত হয়।
- ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন পাশে নিয়ে ঘুমাবেন না এটি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে। সাথে আপনার শরীরর ক্ষতি করবে। তাই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন দূরে রেখে ঘুমাবেন।
- অন্ধকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। রাতে ঘুমানোর অন্তত কয়েক ঘন্টা আগে থেকে মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
- আপনার স্মার্টফোনে বিভিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখুন। যেমন ব্লুটুথ ,ওয়াইফাই এবং জিপিএস ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে। আমরা এটি উপর আলোচনা করেছি। পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই ছাত্র জীবন আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় এটি বারবার ফিরে পাওয়া যাবে না। এ সময়টাকে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। এবং সহপাঠীদের সাথে টাইম স্পেন্ড করুন। ছাত্র জীবনে অযথা প্রয়োজন ব্যতীত মোবাইল ব্যবহার করা উচিত না এটি আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। অর্থাৎ আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url