লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
লেবু হলো সাইট্রিক নামের একটি এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য যা মানুষের ভিটামিন-সি এর অভাব দূর করে। এমন একটা মানুষ খুজে পাওয়া খুব মুশকিল যারা লেবু খায়না বা চিনেনা। লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। বিশ্বের সকল খাদ্য খেতে হয় তার পরিমাণ মতো। প্রত্যেকটা খাদ্য মাত্রাতিরিক্ত খেলে বিভিন্ন রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে লেবুও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
তবে লেবু সময়মতো সঠিক নিয়মে সঠিক মাত্রায় খেলে তা মানবদেহের কোন ক্ষতি করতে পরেবেনা। তাই সঠিক নিয়মে সঠিক মাত্রায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মন দিয়ে ভালোভাবে পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন। আশা করি এই বিষয়ে বিষদ জ্ঞানার্জন করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- লেবু খাওয়ার নিয়ম
- খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- কাগজি লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
- শেষ কথা
লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
লেবু খাওয়ার উপকারিতাঃ লেবুতে কি ধরনের উপকার পাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো নিচে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক: ক্যান্সারের জন্য সবথেকে উপকারী একটি ফল হলো লেবু । কারণ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে সাইট্রাস বা সাইট্রিক অ্যাসিড যা লেবুর মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও কেমোপ্রিভেন্টিভ বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ এবং সাইট্রাস অ্যাসিড পাওয়া যায় এ লেবুর মধ্যে। যার ফলে লেবু আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ কর।
ওজন নিয়ন্ত্রক: আমাদের ওজন কমানোর জন্য সবথেকে সাহায্যকারী খাদ্য লেবুর রস। লেবুর রস কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে এবং এর সাথে মধু যোগ করে পান করলে পেটের বদ হজম এবং পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন সি যা শরীরের চর্বির সাথে বিক্রিয়া করে চর্বি গলাতে সাহায্য করে যার ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমায়।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
হার্ট সুস্থ রাখতে লেবু: লেবুর রসের আরেকটি বিশেষ কাজ হলো হার্ট কে সুস্থ রাখা। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা শরীরের এবং হার্টের শত্রু কোলেষ্টরল এর মাত্রা কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্বাস্থ্য ঝুকি কম করে।
রক্তশূণ্যতা দূরে লেবু: যারা রক্তশূণ্যতার রোগী তারা নিয়মিত লেবুর রস খেলে আশা করি সুস্থ্য হয়ে যাবেন। কারণ ভিটামিন সি যুক্ত খাবারে রয়েছে আয়রন যা রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই লেবু খেলে রক্তশূণ্যতা দূর হয়।
কিডনীর পাথর নিরাময়ে লেবু: কিডনীর পাথর নিরাময়ে লেবু কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। যারা কিডনী তে পাথর নিয়ে ঘুরছেন তাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই লেবু রাখা উচিৎ। লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রাস এসিড কিডনীতে পাথর হতে দেয়না বা প্রতিরোধ করে।
ফুসফুস এর জন্য লেবু: লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ফুসফুস বা শ্বাষতন্ত্র ঠিক বা সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়াও মধূ দিয়ে লেবুর রস খেলে গলার শূংশূং বা খুশখুশি দূর হয় যার কারণে কাশি নিরাময় হয়।
চুলের জন্য লেবু: লেবুর রস চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। লেবুর রস চুলের ড্যানড্রাফ বা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। চুল রাখে মসৃণ এবং উজ্জ্বল। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল এবং মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে লেবুর রস এর ব্যবহার আবশ্যক।
আসুন আমরা এক নজরে লেবু এবং লেবুর রস এর ব্যবহার গুলো জেনে নিই
- চুলের খুশকি দূর করতে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
- জটিল ও কঠিন দাগ পরিষ্কার করার জন্য লেবুর রস অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
- মুখের ব্রণ এর দাগ দূর করতে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
- প্লাস্টিক জাতীয় কোন বস্তু যেমন ওভেন ফ্রিজ এসবের কঠিন দাগ পরিষ্কার করতে লেবুর রস ব্যবহার করা যায়।
আমরা এতক্ষণ পড়লাম লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন আমরা আলোচনা করব লেবু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
লেবু খাওয়ার অপকারিতা: নিচে লেবু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল-
দাঁতের মাড়িঃ লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা মাত্রাতিরিক্ত লেবু বা লেবুর রস খেলে দাঁত টক হয়ে যেতে পারে এবং দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এলার্জিঃ যদি কোন ব্যক্তি বা মানুষ এর এলার্জি রোগ থাকে তবে তার লেবু এবং লেবুর রস এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ তার শরীরের ত্বকে চুলকানি এবং চামড়ার বহিস্তর ফুলে যেতে পারে।
ডায়রিয়াঃ লেবু হচ্ছে ভিটামিন সি এর উৎস যা অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া,পেটব্যথা বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
মাইগ্রেনঃ অতিরিক্ত লেবু খেলে নিয়মিত মাথা ব্যথা অথবা মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে।
ত্বকের জীবাণুঃ অতিরিক্ত মাত্রায় লেবুর রস ত্বকের জীবাণুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বদহজমঃ লেবু যেমন সঠিক মাত্রায় খেলে বদ হজম গ্যাস এসব দূর হয় তেমনি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলেই গ্যাস বদহজমও হতে পারে।
লেবু খাওয়ার নিয়ম
এতক্ষণ আলোচনা করা হলো লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা লেবু খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জানব।
- সালাদের সাথে লেবুর রস খাওয়া যেতে পারে।
- বিভিন্ন রকম চায়ে লেবুর রস দিয়ে খাওয়া যায়।
- লেবুর আচার তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
- লেবুর রস দিয়ে লেবু জল, লেবু পানি অথবা শরবত বানিয়ে খাওয়া যায়।
- সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে সামান্য লবণ এবং লেবুর রস খাওয়া যেতে পারে।
- তিন বেলা ভারী খাবারের সাথে লেবুর রস খাওয়া যায়।
- এইতো ছিল মোটামুটি লেবু খাওয়ার নিয়ম তবে আপনি ইচ্ছা করলে বিভিন্ন খাদ্য তৈরি করার সময় তার রেসিপির সাথে লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
আশা করি এতক্ষণে আপনারা লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লেবু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। চলুন এবার জেনে আসি খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা।
পুষ্টির অভাব দূর হয়: লেবুর রসের সাথে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত থাকে তার সাথে সাথে থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনিসিয়াম এবং আরোও অনেক কিছু। যা শরীরের পুষ্টির অভাব দূর করতে ভীষণ কাজে লাগে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে: খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে আমাদের শরীরের খাবার হজম করতে যে অ্যাসিড অর্থাৎ সাইট্রাস এসিডের প্রয়োজন তা লেবুর রসে রয়েছে। মানবদেহের পাকস্থলীর খাবারকে সহজেই হজম করতে সাহায্য করে লেবু। লেবুতে থাকা ফাইবার জাতীয় পদার্থ যা পাকস্থলীর খাদ্য হজমে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই পানির সাথে লেবু খেলে ভালোই উপকার পাবেন।
আরো পড়ুনঃ উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়
হাইড্রেট রাখতে লেবু: পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে লেবু পানি খেলে আপনার শরীরে পানির শূন্যতা বা ডিহাইড্রেট থাকবে না। লেবু পানি খেলে আপনার মুখের অরুচি এবং পানির অভাব দূর হয়।
পিএইচপি লেভেল: বিশ্বের প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটা পিএইচপি লেবেল থাকে। যা মানুষেরও আছে। সুতরাং লেবুর রস কোনভাবে আপনার শরীরের মধ্যে গেলে আপনার পি এইচ পি লেভেল সঠিক থাকবে। এর ফলে ভেতর থেকে আপনার শরীর এতটাই উৎফুল্ল থাকবে যে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ওজন কমানোর সাহায্যকারী হিসেবে লেবু: লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনুচ্ছেদে আমি আগেই বলেছি ওজন কমানোর সাহায্যকারী হিসেবে লেবু খাওয়া যায়। যদি রোজ এক্সারসাইজ করেন অথবা ডায়েট করার চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে আপনার লেবু পানি অথবা গরম কুসুম পানির সাথে লেবুর রস আপনার সব থেকে কাছের বন্ধু হতে পারে। এই লেবু পানি অর্থাৎকুসুম গরম পানি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান করলে তারপর এক্সেসাইজ শুরু করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
টিবি রোগ নিরাময়ে লেবু: আজকাল গবেষকরা একটি গবেষণা থেকে এমনটা বের করেছে যে টিবি রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের সঙ্গে লেবু অথবা ভিটামিন সমৃদ্ধ কোন ফল খাওয়া হয় তাহলে তার ওষুধের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায় এবং রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগবে না।
রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রক হিসেবে লেবু: আমাদের শরীরে প্রয়োজনের যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম পাওয়া সম্ভব লেবু থেকে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাংসপেশের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং হার্টের বিটরেট নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণে লেবু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ লেবুর মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে।
প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা
লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা এতক্ষণ যা বললাম তা সবই প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। তবে এখানে আরো কিছু উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ত্বক উজ্জ্বল করে: অনেক বিউটি ক্রিম যা করে উঠতে পারেনি তা লেবু পানি একটুতেই করে ফেলতে পারে। আসলে লেবুর রসে বিদ্যমান বেশ কিছু উপাদান বা ভিটামিন ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ত্বকের বয়স কমানোর পাশাপাশি ব্ল্যাক হেডস বা ত্বকের কালো দাগ এবং বলিরেখা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে লেবুর রস। গরমকালে ত্বক ঠান্ডা এবং ঘাম মুক্ত এবং উজ্জ্বল রাখতে লেবুর রস বা লেবু মেশানো পানি দিয়ে বারবার মুখটা ধুতে পারেন দেখা যাবে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা এরমধ্যে লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি অন্যতম। লিভার আপনার শরীরের বর্জ্য পদার্থের ফিল্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শরীরের অতিরিক্ত খাদ্য অথবা অথবা অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বের করে দিতে লেবুর রস বা লেবু পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে আপনার শরীরকে রাখে সুস্থ ও উৎফুল্ল।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে লেবু: আগেই বলেছি যে আপনার শরীরের বর্জ্য পদার্থ খুব সহজে বের করে দিতে পারে লেবু পানি। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমাধানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সকালে খালি পেটে পানি অথবা একটু কুসুম গরম পানির সাথে লেবু ও মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকে।
ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
লেবু পানি মানুষের হাইপার টেনশন কমাতে সাহায্য করে। মুখের অতিরিক্ত দুর্গন্ধ দূর করতে ঠান্ডা পানিতে লেবু খুব কার্যকরী। মাড়ির ব্যথা এবং দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাদ্য দূর করতে সাহায্য করে ঠান্ডা পানির লেবু। লেবু পানি খাবার পর ব্রাশ করার প্রয়োজন হয় না। ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা পাওয়ার থেকে কুসুম গরম পানি খেলে ভালো উপকার পাবে অন্যথায় ঠান্ডা পানিতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কাগজি লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
উপরে লিখিত সাধারণ লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা প্রসঙ্গে আমরা বিস্তারিত জানলাম। তো এখন আমরা জানবো লেবুর আরেকটি জাত কাগজি লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
কানের রোগ সারাতে কাগজি লেবুর ব্যবহার: পাতিলেবুর রস অথবা কাগজি লেবুর রস ফোটা ফোটা করে কানের ভিতর দিলে কানের ব্যথা ভালো হয়। লেবুর রসে সরষের তেল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিলে ঠান্ডা হলে ছেঁকে শিশিতে ঢুকিয়ে রাখুন এবং কানে দুফোটা করে দিলে পুঁজ বের হওয়া অথবা চুলকানি ইত্যাদি প্রশমিত হয়।
গলা ব্যথা কমাতে লেবুর ব্যবহার: ওই একইভাবে পাতিলেবুর রসে অল্প চিনি মিশিয়ে কুলকুচি করলে গলার ব্যথা সারে সর্বভঙ্গ বা গলার আওয়াজ পরিবর্তন হয়ে গেলেও অনেক আরাম পাওয়া যায়। কুসুম তেলে লেবুর রস পান করলে গলার অসুখ সারে।
মাথা ব্যথা কমাতে কাগজি লেবু: করা চায়ের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে দিলে সাথে সাথে মাথা ধরা সারে এবং মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
বাত ব্যথা প্রশমন: যে কোন বাত ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা এমনকি হাড়ে ব্যথা থাকলে কাগজি লেবুর রস দিয়ে মালিশ করলে বা পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
শেষ কথাঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা সকলেই লেবু চিনি ও লেবু খাই। কিন্তু আমরা সকলেই কম বেশি এই লেবুর গুনাগুন সম্পর্কে জানি না। তবে আমাদের প্রতি দিনের খাদ্যের সাথে থাকা লেবু গুনাগুন সম্পর্কে জানা উচিত এবং আশা করি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। লেবু দেখতে গোলাকৃতি আকারের ছোট হলেও এর গুনাগুন অনেক বেশি যা আপনারা এতক্ষন লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা প্রবন্ধটিতে জানতে পারলেন।
তাই আমরা লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলটিতে লেবু খাওয়ার গুনাগুন এবং লেবুর গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যদি এখনো অনেকেই না বুঝতে পারেন তাহলে অনুরোধ থাকলো পুনরায় পড়ার জন্য। আজ আর নয় এখানেই আমরা শেষ করছি এবং আজকের আর্টিকেলটি কেমন হয়েছে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ আবার আসবেন।
চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url