ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিন

অনেকেই ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চাইছেন? বর্তমান সময়ে নীরব ঘাতক ফ্যাটি লিভার বিশ্বের অনেক মানুষকে আক্রমণ করছে। যকৃতে স্বাভাবিকের তুলনায় যদি অধিকপরিমাণে চর্বি জমা হয় তাহলে এটি ফ্যাটি লিভারে রূপ নেই। তাই ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় ও ফ্যাটি লিভার হলে কি সমস্যা হয় এই সম্পর্কে আলোচনা করব।ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিনএই ফ্যাটি লিভার ভালো করা যায় প্রতিদিনের খাদ্যভাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কিছু খাবার নিয়মিত খান তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে দ্রুত।

পেজ সূচিপত্রঃ ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়

বর্তমান সময়ে অনেকেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই অনেকে জানতে চাই ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় কি। আজকের আর্টিকেলটি মূলত আমাদের ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। ফ্যাটি লিভার বলতে বোঝায় যকৃতে চর্বি জমা হওয়া। আমাদের লিভারে অল্প পরিমাণে চর্বি থাকবে এটা স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু লিভারে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি ধারণ করে তাহলে অবশ্যই এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানার আগে আপনাদের জানা উচিত ফ্যাটি লিভার কয় ধরনের রয়েছে। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়ে থাকে

  • অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার
  • নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার
  • অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বলতে বুঝায় যারা অ্যালকোহল পান করে এবং এটি তাদের নিয়মিত একটি অভ্যাস হয়ে পড়েছে তাদের এই ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে।
  • নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে সাধারণত আমাদের লাইফ স্টাইল এর পরিবর্তনের কারণে। যেমন অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস, চাহিদার অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার, অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খাওয়া, তরকারিতে অতিরিক্ত মসলা খাওয়ার মাধ্যমে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে।
  • এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার ফলে ফ্যাট লিভার হয়ে থাকে। এবং যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে এদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে ফ্যাটি লিভার যে কোন বয়সে মানুষেরই হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় কারো বংশগত বা বয়সের কারণে ফ্যাট লিভার আক্রান্ত হয়।
  • গবেষণায় দেখা যায়, আমাদের দেশে মানুষদের মধ্যে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার এ খুব কম মানুষই আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের লিভার ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে তা আমরা কোনভাবে বুঝতে পারি না। কিন্তু ফ্যাটি লিভার অনেক সময় অনেক বড় ধরনের রোগের আগমন ঘটাতে পারে।
ফ্যাটি লিভার কমানো যায় কিছু খাদ্য অভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে। নিচে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  • যেসব ব্যক্তিদের অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রয়েছে তারা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার গুলো থেকে বিরত থাকবেন। এবং চিরতরে ফ্যাটি লিভার মুক্তি পেতে হলে অ্যালকোহল খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।
  • দুধ চা বা দুধ দিয়ে তৈরি কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত ঘন করে দুধ খাওয়া যাবেনা।
  • আপনার ফ্যাটি লিভার সহজে দূর করতে হলে আপনি অবশ্যই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার গুলো খাবেন।
  • আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফাইবার যুক্ত খাবার রাখবেন। কারণ যে ধরনের খাবারগুলোতে ফাইবার পাওয়া যায় সে খাবার গুলো আমাদের হজম শক্তি বাড়ায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে অনেকটা সময় ধরে ক্ষুধা লাগে না। ক্ষুধা না লাগার কারণে কম খেতে হবে এর ফলে আপনার লিভারে ফ্যাট কমে আসবে।
  • খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন নানা ধরনের শাকসবজি রাখবেন। যেমন বরবটি, শিম, গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও ব্রকলি ইত্যাদি। এবং প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় একটি করে শাক রাখবেন।
  • আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা একটি রয়েছে যে ফ্যাটি লিভার হলে প্রোটিন জাতীয় খাবার একেবারে খাওয়া যাবেনা। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলেন আপনার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় উন্নত মানের কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে হবে। কিন্তু একটু খেয়াল রাখবেন যেন অতিরিক্ত চর্বিযুক্তি মাছ বা মাংস খাওয়া যাবেনা। এছাড়াও মুরগির চামড়া খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। চর্বি ছাড়া গরুর মাংস মাঝে মধ্যে খেতে পারেন।
  • প্রতিদিন একটি করে সিদ্ধ ডিম খাবেন। এবং টক দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমলে আপনার ফ্যাটি লিভার কমে যাবে।
  • প্রতিদিন রান্না খাবারে তেল কম ব্যবহার করবেন। অধিক মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না।
অর্থাৎ খাবারের অভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় খাবারগুলো একটু খেয়াল করে খেলেই দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ফ্যাটি লিভার কমে যাচ্ছে। উপরোক্ত আলোচনায় আমরা ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ফ্যাটি লিভার হলে কি সমস্যা হয়

মানুষের পেটে যখন অতিরিক্ত চর্বি জমা বাঁধে তখন সে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়। ফ্যাট লিভারের কারণে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যখন পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমে তখন লিভারেও কিছুটা চর্বি বাঁধে। যার ফলে লিভার কম কাজ করা শুরু করে। অনেক সময় আমরা বুঝতে পারিনা যে আমাদের লিভারে ফ্যাট জমা হয়েছে কিনা। এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ফ্যাটি লিভার হলে কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে।

  • ফ্যাটি লিভার হলে প্রথমে যে লক্ষণটি দেখা দেয় তা হলো পেটের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়। অর্থাৎ ভুড়ি অনেকটা বড় দেখায়। যার ফলে আপনার কাজ করতে অসুবিধা হবে।
  • লিভারে যখন চর্বি জমা হয় তখন লিভারের কার্যক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। যার ফলে আপনার ক্ষুধা মন্দা শুরু হবে। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। বমি বমি ভাব আসবে এবং খুব দুর্বল অনুভূতি হবে। শরীরে মধ্যে অলসতা কাজ করবে।
  • ফ্যাটি লিভারের কারণে অনেক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় যেমন প্রচন্ড মন খারাপ, অতিরিক্ত মাথায় ব্যথা এবং বিষণ্ণতা। এগুলো প্রতিদিন দেখা দিলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়েছেন।
  • যদি দেখেন আপনার চোখ হলদেটে হয়ে যাচ্ছে তাহলে এটি ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ হিসাবে কাজ করে। আপনি অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং ফ্যাটি লিভার টেস্ট করাবেন।
  • আপনার হজমের সমস্যা সৃষ্টি হবে। সহজে খাবার হজম হতে চাইবে না।
  • অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি হতে পারে।
  • অনেক সময় দেখা যায় খাবার খাওয়ার সময় ও বমি বমি ভাব আসছে।
  • হঠাৎ হঠাৎ করে পেট ফুলে যাচ্ছে।
  • হঠাৎ করেই আচমকা আপনার ওজন কমে যাচ্ছে।
উপরোক্ত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে ফ্যাটি লিভারের কারণে। ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় ওপরে দেওয়া আছে এগুলো অনুসরণ করলে আপনার ফ্যাটি লিভার কমে যাবে।

ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত

যারা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত তারা অনেকে চিন্তা করেন যে আমাদের কোন ধরনের খাবারগুলো খাওয়া উচিত। যার ফলে আমাদের লিভারে ফ্যাট কমে আসবে। কারণ ফ্যাটি লিভার প্রথম পর্যায়ে থাকলে চিকিৎসকরা এর জন্য নির্দিষ্ট করে ওষুধ দিয়ে থাকে না তারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলে।
ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বড় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে হল খাবার অর্থাৎ আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা আপনি কি ধরনের খাবার খাচ্ছেন এবং কোন ধরনের খাবারগুলো আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত এ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত অর্থাৎ ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নিচের খাবার গুলো খাওয়া উচিত। নিচের খাবার গুলোর মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

শাকসবজিঃ গবেষণা করে গবেষকরা বলেন, সবুজ শাক সবজির মধ্যে পাওয়া যায় যথেষ্ট পরিমাণে নাইট্রেট অ্যাসিড ও পলিফেনাল যার ফলে এটি লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে।

কিন্তু আমাদের অনেকেই দেখা যায় শাক রান্না করার সময় সিদ্ধ করার পর পানি ফেলে দেয় কিন্তু এ পানি ফেলা যাবে না কারণ এ পানি ফেলে দিলে এর সাথে পলিফেনাল চলে যায় যার ফলে এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা বেশি কার্যকর হয় না।

ডাল জাতীয় খাবারঃ যে খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আশ পাওয়া যায় সে খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। যেমন ডাল, মটরশুটি ও ছোলা ইত্যাদি। এই খাবারগুলো আমাদের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাড এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া খেতে পারেন সয়াবিন।

বীজঃ বীজ জাতীয় খাবার গুলো ফ্যাট লিভার কমানোর জন্য খুব বেশি উপকারী। যেমন সূর্যমুখীর বীজ। সূর্যমুখী বীজে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এটি আমাদের ফ্যাটি কমানোর জন্য অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।

সামুদ্রিক মাছঃ ওমেগা ৩ তেল যুক্ত যে ধরনের সামুদ্রিক মাছগুলো পাওয়া যায় এগুলো আমাদের ফ্যাটি লিভারের জন্য খুব উপকারী। যেমন টুনা, রূপচাঁদা, শ্যামন এবং ইলিশ ইত্যাদি। চিকিৎসকদের মতে, সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন মাছ খাওয়া উচিত।

ওটসঃ আপনার ফ্যাটি লিভার কমানোর জন্য আপনি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় লাল আটার রুটি এবং ওটমিল রাখবেন। জটিল শর্করা যুক্ত খাবার গুলোই ফ্যাট লিভার কমাতে খুব বেশি কাজ করে।

বাদামঃ আপনার খাদ্য তালিকা প্রতিদিন নানা ধরনের বাদাম রাখবেন। বাদাম আপনার মানসিক ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও ইনসুলিন পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

রসুনঃ কাঁচা হলুদ এবং কাঁচা রসুন যকৃতের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম

যেসব ব্যক্তিদেরদেখা যায় শারীরিক পরিশ্রম অনেক কম হয় এবং তাদের শারীরিক ব্যায়াম করা হয় না তাদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। সকালে অথবা বিকালে প্রয়োজন মতো সময় অনুযায়ী কাজের ফাঁকে আপনাকে শারীরিকভাবে ব্যায়াম করার অভ্যাসটি করে তুলতে হবে।

একদিনে অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে এটি আপনার জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম করার আগে আপনাকে অবশ্যই হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ব্যায়াম করার জন্য আপনি প্রথমে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। যেমন প্রথম এক মাস শুধু আপনি হাঁটা চলাফেরা করবেন এবং এটিকে আস্তে আস্তে পরবর্তীতে ব্যায়ামে পরিণত করবেন।

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট পরে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এবং আস্তে আস্তে সেটিকে আপনি পরবর্তীতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টাতে পরিবর্তন করবেন। হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুললে দেখবেন যে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমে যাচ্ছে।

ফ্যাটি লিভারের জন্য অন্য একটি ব্যায়াম আছে সেদিকে যোগব্যায়াম বলা হয়। যোগ ব্যায়াম করা হয় সাধারণত সকাল বেলায়। কিন্তু অবশ্যই আপনাকে এই ব্যায়াম করার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে এবং এটিকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। আপনার বেশি বেশি অভ্যাসের ফলে এটি আপনার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

ফ্যাটি লিভার কি ভালো হয়

আমাদের লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি জমা হলে তখন সেটি ফ্যাটি লিভার ধারণ করে। ফ্যাটি লিভার হয় মূলত ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং অনিয়মিত খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলার ফলে। ফ্যাটি লিভার যদি প্রথম পর্যায়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে এটি ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।

আমরা উপরে আলোচনা করেছি ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত উপরুক্ত নিয়মগুলো আপনি মেনে চললে আপনার ফ্যাটি লিভার দূর হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই ফ্যাটি লিভার ভালো হয়ে যাবে কিন্তু এর জন্য আপনাকে একটু সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

শেষ কথাঃ ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়

ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার আমাদের কোন সমস্যা সৃষ্টি না করলেও এটি আস্তে আস্তে অনেক বড় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অবশ্যই ফ্যাট লিভার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে।

আমরা আর্টিকেলের উপরে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এটি আপনি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। এবং আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url