ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় - সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

আজকাল, ব্যাংক হয়ে গেছে একটি জনপ্রিয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাই ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ও সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে সাহায্য করে। ব্যাংক লোন পেতে হলে, ব্যক্তিগণকে তাদের আয়, কাজের অবস্থা, কর্মস্থল, আবাসন স্থান, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করতে হয়। আজকের আর্টিকেলে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ও সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।আপনি যদি ব্যাংক থেকে লোন পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি? ব্যাংক লোন প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রদান করে। শর্তগুলো সঠিকভাবে পূরণের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারেন। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ব্যাংক প্রদত্ত শর্তগুলো পূরণের মাধ্যমে খুব সহজেই লোন পেতে পারেন।
পেজ সূচিপত্রঃ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় - সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্যাংক লোন তুলনামূলক সুবিধা বেশি এবং সুদের হার অনেক কম। ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়। চলুন তাহলে জেনে নেই সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় গুলো।


ব্যাংক লোনের প্রকারভেদঃ বিভিন্ন ব্যাংক অনুযায়ী ব্যাংক লোনের প্রকার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন লোন হতে পারে। আপনার লোন গ্রহণের উদ্দেশ্যর উপর লোনের ধরন নির্ভর করে। তাই আপনি কি ধরনের লোন নিতে চান এবং কেন নিতে চান তা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। নিচে বিভিন্ন ধরনের লোনের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ব্যক্তিগত লোনঃ গ্রাহকের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যে লোন প্রদান করা হয় তাকে ব্যক্তিগত লোন বলা হয়। এটিকে অনেক সময় স্যালারি লোন ও বলা হয়।

ব্যবসায়িক লোনঃ গ্রাহকেরা ব্যবসায়ের প্রয়োজনে যে লোন গ্রহণ করে থাকে থাকেন ব্যবসায়ীক বা বিজনেস লোন বলা হয়।

হোম লোনঃ বাড়ি তৈরি করা বা বাড়ি ক্রয় করার জন্য যে লোন প্রদান করা হয় তাকে হোম লোন বলা হয়।

গাড়ি লোনঃ গাড়ি ক্রয় করার জন্য যে লোন প্রদান করা হয় তাকে অটো বা গাড়ি লোন বলা হয়।

স্টুডেন্ট লোনঃ পড়াশোনার জন্য প্রদান করা হয় তাকে স্টুডেন্ট লোন বলা হয়।

প্রবাসী লোনঃ বিদেশ যাবার জন্য যে লোন প্রদান করা হয় তাকে প্রবাসী লোন বলা হয়।

কৃষি লোনঃ কৃষি পণ্য উৎপাদন এবং কৃষিকাজে সহায়তা করার জন্য যে লোন প্রদান করা হয় তাকে কৃষি লোন বলা হয়।

চিকিৎসা লোনঃ চিকিৎসার জন্য ব্যাংকের লোন কর্মসূচি রয়েছে।

এসএমই লোনঃ ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকে এসএমই লোনের কার্যক্রম রয়েছে।

শিল্প লোনঃ দেশের শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংকে শিল্প লোন প্রদান করে থাকে।

এগুলো ছাড়াও সময়ের উপর ভিত্তি করে লোনের প্রকারভেদ হয়ে থাকে। নিচে তা দেয়া হলো।

স্বল্প মেয়াদীঃ যেসব লোন এক বছর বা দুই বছর সময়ের জন্য প্রদান করা হয় সেগুলোকে স্বল্পমেয়াদী লোন বলা হয়। যেমন- কৃষি লোন, প্রবাসী লোন ইত্যাদি।

মধ্য মেয়াদীঃ মধ্য মেয়াদি লোন লোন দুই থেকে পাঁচ বছরের জন্য প্রদান করা হয়। মধ্য মেয়াদী লোন পাওয়া তুলনামূলক সহজ।

দীর্ঘমেয়াদীঃ যেসব লোন ৫ বছরের বেশি সময়ের জন্য প্রদান করা হয় তাকে দীর্ঘমেয়াদি লোন বলে। যেমন শিক্ষা লোন, ব্যক্তিগত লোন, ব্যবসায়ীক লোন ইত্যাদি।

প্রয়োজনীয় শর্ত এবং ডকুমেন্টঃ আপনি যদি সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক লোন পেতে কি কি কাগজপত্র বা তথ্য প্রদান করতে হবে তা জানতে হবে। ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য কিছু শর্তাবলী পূরণ বা তথ্য প্রদান করতে হয়। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় হিসেবে শর্তাবলী গুলো নিচে দেওয়া হল।
  • কেন লোন নিতে চান তা জানাতে হবে।
  • আপনি কি কাজ করেন সে বিষয়ে তথ্য দিতে হবে।
  • ব্যবসা বা চাকরিতে অভিজ্ঞতা থাকলে তাই জানাতে হবে।
  • লোন নিয়ে কোথায় বিনিয়োগ করবেন তা জানাতে হবে।
  • আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা জানাতে হবে।
  • আপনার ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে হবে।
  • আপনার অর্থনৈতিক স্টেটমেন্ট বা আয়ের উৎস জানাতে হবে।
  • পূর্বে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে থাকলে তা জানাতে হবে।
  • কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে তা জানাতে হবে।
  • লোনের জন্য ব্যক্তিগত জামানত বা সরকারি গ্যারান্টি দিতে হবে।
উপরিউক্ত শর্তাবলী বা তথ্য প্রদান ছাড়াও ব্যাংক থেকে লোন পেতে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে হবে। সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় হিসেবে নিম্নলিখিত কাগজপত্র বা ডকুমেন্টগুলো হলো।
  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • লোনের আবেদন করার জন্য গ্রাহকের স্বাক্ষরযুক্ত ফরম।
  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি । প্রয়োজনে পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি।
  • আয়ের উৎস বিবরণী।
  • ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী। (কমপক্ষে ছয় মাসের)
  • বিদ্যুৎ বিল , পানি বা গ্যাস বিলের কপি।
  • একজন গ্যারেন্টারের ছবি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
  • বিভিন্ন পেশার ক্ষেত্রে অফিস আইডি কার্ড বা ভিজিটিং কার্ড।
  • ব্যবসায়ী কর্মক্ষেত্রের জন্য টিন সার্টিফিকেট।
  • অংশীদারি ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে স্মারকলিপি, মূলধন ইত্যাদির তথ্য।
  • ট্রেড লাইসেন্স
  • সেলারি সার্টিফিকেট বা পে স্কেল এর কপি।
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক চলতি হিসাবের তথ্য।
  • ওষুধ ব্যবসায়ীর জন্য ড্রাগ লাইসেন্স।
  • খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বিএসটিআই সার্টিফিকেট
  • ডিজেল ও অ্যাসিড ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ডিসির অনুমোদন
  • মজুদ মাল ও তার মূল্য তালিকা , আর্থিক বিবরণী ইত্যাদি।
  • স্থায়ী সম্পদের বিবরণ ও মূল্য।
  • পাওনাদার ও দেনাদারের তালিকা।
আবেদন করার নিয়মঃ ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে আপনাকে প্রথম শর্তাবলী পূরণ করতে হবে। তারপর লোনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকতে হবে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক নির্ধারণ করতে হবে। ব্যাংকে লোনের আবেদন করার জন্য সুদের হার এবং পরিশোধ পদ্ধতি বিবেচনা করতে হবে।

নির্দিষ্ট ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে লোনের জন্য আবেদন ফরম গ্রহণ করতে হবে। লোনের আবেদন ফরমে লোন গ্রহণের কারণ, লোনের পরিমাণ, ব্যক্তিগত তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। লোনের আবেদন ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে।

পরবর্তীতে ব্যাংকের কর্মকর্তা আপনার ডকুমেন্ট এবং ফরম যাচাই-বাছাই করবে। পরবর্তী সময়ে গ্রাহককে ব্যাংক থেকে সাক্ষাৎ গ্রহণের জন্য ডাকা হবে। সাক্ষাৎ গ্রহণের পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে লোনের অর্থ বিতরণ করে।

সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় হিসেবে উপরের শর্তগুলো এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বিবেচ্য বিষয়। তবে সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় হিসেবে কিছু বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্যাংক নির্বাচন। এক্ষেত্রে কোন ধরনের ব্যাংক বাছাই করবেন সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
  • লোন এর বিপরীতে সুদের হার
  • লোন প্রসেসিং ফি
  • লোন পরিশোধ বা কিস্তির পদ্ধতি
  • মেয়াদ উত্তীর্ণ লোনের সুদের হার
  • মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে লোন পরিশোধের নিয়ম
  • অন্যান্য ফি

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

সোনালী ব্যাংক বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে লোন প্রদান করছে। লোন গ্রহণের জন্য সোনালী ব্যাংক অন্যতম। সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিচে দেওয়া হল।
সোনালী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের জন্য প্রথমে আপনাকে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক ব্রাঞ্চে যেতে হবে। সেখান আবেদন ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্ট দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। তারপর ফর্মটি ব্যাংক শাখায় জমা দিতে হবে। ব্যাংক থেকে আপনার সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করবে।পরবর্তী সময়ে লোন দেয়ার উপযুক্ত মনে হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে অবগত করবে।

সহজ কিস্তিতে লোন

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সহজ কিস্তিতে লোন নিতে আগ্রহী ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রত্যেকটি ব্যাংক সহজ কিস্তিতে লোন প্রদানের বিষয়টি জোরদার করছে। সত্যি বলতে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে সহজ কিস্তিতে লোন গ্রহণের বিষয়টি সহজলভ্য হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন গ্রহণ করা যায়। সহজ কিস্তিতে লোন গ্রহণের আবেদনের পদ্ধতি একই রকম। শুধু আপনাকে কোন ধরনের লোন গ্রহণ করতে চান ফরমে তা উল্লেখ কর। তবে সহজ কিস্তিতে লোন গ্রহনের ক্ষেত্রে সুদের হার বিশেষ বিবেচনায় রাখবেন।ব্যাংক ছাড়াও বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপস থেকে সহজ কিস্তিতে লোন প্রদান করে থাকে।

ইসলামী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশের ব্যাংক গুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক অন্যতম। অন্যান্য ব্যাংক থেকে ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। ইসলামিক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিচে দেওয়া।
  • ইসলামী ব্যাংক থেকেলোন গ্রহণের জন্য আপনাকে নিকটস্থ ব্রাঞ্চে উপস্থিত হতে হবে।
  • তারপর আপনি কেন লোন গ্রহণ করতে চান সে সম্পর্কে ব্যাংক কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
  • যখন ব্রাঞ্চে যাবেন তখন আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যাবেন।
  • লোন গ্রহণের জন্য আপনার স্যালারি স্টেটমেন্ট এবং অন্যান্য আয়ের উৎসের সমস্ত ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে।
  • আপনার ইনকামের উপর ভিত্তি করে ক্লোন প্রদান করবে। মাসিক ইনকাম ৫০ হাজারের বেশি হলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন। ইনকাম যত বেশি হবে লোনের পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে।
  • লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের ইন্টারেস্ট এর পরিমাণ রয়েছে।
  • আপনার তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনলাইনে অনেক কাজ করা যায়। এখন তো অনলাইনে লোন গ্রহনের সুবিধা পর্যন্ত চলে এসেছে। সাধারণভাবে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল, কিন্তু অনলাইনে লোন পাওয়ার ফলে বিষয়টা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হলো।

অনলাইনে লোন মূলত বিভিন্ন অ্যাপস এর মাধ্যমে প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান তাদের অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে সহজ শর্তে লোন প্রদান করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিকাশ, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংকের ইরিন অ্যাপস, ব্র্যাক ব্যাংকের সুবিধা অ্যাপস এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল প্রকল্প। অনলাইনে আপনি ৫০০ টাকা থেকে ৫০০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহন করতে পারেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশে বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের ক্ষেত্রে "কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন" একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। এই লোনের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন উদ্যোগে যোগ দিতে পারে এবং নিজেদের জীবনকে স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হতে পারে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং আবেদন প্রক্রিয়া অন্যান্য ব্যাংকের মতোই। তবে কর্মসংস্থান ব্যাংকের আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলো নিচে দেওয়া হল।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি হলো।

সহজ ঋণ প্রাপ্তিঃ শিক্ষিত এবং বেকার যুবক-যুবতীরা কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে সহজেই ঋণ নিতে পারে, এবং তাদের জীবনকে উন্নত করার জন্য এই ঋণ ব্যবহার করতে পারে।

কম মাসিক কিস্তিঃ লোনের মাসিক কিস্তি সাধারিত এবং সাহায্যকর ভাবে হতে পারে, যেটি বেকার যুবক-যুবতীদের জীবনকে আরও সহজ করতে সাহায্য করতে পারে।

মিনিমাম ব্যালেন্স সুবিধাঃ এই লোনের জন্য অনেক ক্ষেত্রে মিনিমাম ব্যালেন্স আবশ্যক হয়না, যা একটি উদার বৈপ্রয়া দেওয়ার কারণে এই লোন প্রাপ্ত করতে ক্ষুব্ধ হওয়া সহজ হতে পারে।

পুনর্নির্মাণ লোনঃ এই লোনের মাধ্যমে উদ্যোগে যোগদান করতে পারে এবং ব্যবসা বা কাজের জন্য নিজেকে পুনর্নির্মাণ করতে সক্ষম হতে পারে।

মানব সম্পদ বৃদ্ধি: কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের কাজে যোগদান করার মাধ্যমে সম্পদ বৃদ্ধি হতে পারে, তাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

নোটঃ উল্লেখ্য যে, সকল লোন সুবিধার জন্য আবেদনের আগে এর শর্তাদি বিশিষ্টগুলি সতর্কতা সাথে পড়ে নিতে ভুলবেন না, এবং সকল আবেদনের জন্য যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করতে হবে।

কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কৃষকদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃষি ব্যাংকের ভূমিকা অপরিসীম। নিচে কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় আলোচনা করা হলো।
  • মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আবেদন
  • গুগল প্লে-স্টোর থেকে "BKB-Janala" মোবাইল অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
  • অ্যাপ ইনস্টল করে খোলুন এবং আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন।
  • আবেদন পূর্ণ করে সাবমিট করুন।
  • শাখার সাথে যোগাযোগ
  • নিকটস্থ কৃষি ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করুন।
  • শাখা কর্মীদের সাথে সম্পাদনা করে আপনি কোন ধরনের লোন প্রয়োজন পাচ্ছেন তা জানান।
  • আবেদন ফরম পূর্ণ করুন এবং সহায়ক কাগজপত্রগুলি সাথে জমা দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url