উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় - নারী উদ্যোক্তা লোন

প্রিয় পাঠক, উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় বা নারী উদ্যোক্তা লোন কোথায় এবং কিভাবে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়, নারী উদ্যোক্তা লোন কোথায় পাওয়া যায় এবং সহজ কিস্তিতে লোন পাওয়ার নিয়ম এ সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় ও নারী উদ্যোক্তা লোন কোথায় এবং কিভাবে পাবেন এ সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাবেন।
উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় - নারী উদ্যোক্তা লোন
আজকাল আমরা শিক্ষিত হয়েও যেন বেকার দিন পার করছি। কারণ বর্তমান সময়ে আমাদের চাকরির জন্য যে পরিমাণ সিট বরাদ্দ আছে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি বেকার যুবক-যুবতী তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সময় তো আর থেমে থাকে না আমাদের সময়ের সাথে সাথে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে এর জন্য প্রায় শিক্ষিত বেকার তরুণ তরুণীরা উদ্যোক্তা হতে চাইছেন। তাই এই আর্টিকেলটিতে আমরা উদ্যোক্তা লোন নিয়ে আলোচনা করব।

পেজ সুচিপত্রঃ উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় - নারী উদ্যোক্তা লোন

আপনারা যারা নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন কিন্তু এ ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য প্রয়োজন পড়ছে টাকার। আপনার ব্যবসাটি বড় করার জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয়তো সে টাকাটি আপনার কাছে এই মুহূর্তে নাই সেজন্য আপনি কিছু লোন নিতে চাইছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় বা আপনি যদি একজন নারী হয়ে থাকেন তাহলে নারী উদ্যোক্তা লোন কোথায় এবং কিভাবে পাবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত।এবং এই আর্টিকেলটিতে আরো আলোচনা করা হবে ইসলামী ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংক থেকে উদ্যোক্তা লোন কিভাবে নেওয়া যায়।

উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়

আপনি হয়তো ছোটখাটো ব্যবসা করছেন এখন চাইছেন ব্যবসাটাকে একটু বড় করে দাঁড় করাতে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকাই আপনি লোন নিতে চাইছেন? কোথায় লোন নিবেন কিভাবে নিবেন এ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। তাইতো এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
বেশ কয়েক বছর ধরে তরুণ-তরুণীদেরমাঝে ব্যবসা করার একটি উদ্যোগ তৈরি হয়েছে। যার কারণে দেখা যাই অনেক তরুণ-তরুণীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি নতুন আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। যারা ব্যবসা করতে চান তাদের মধ্যে অনেকেই মার্কেট রিসার্চ করে ব্যবসা শুরু করেন। এক সময় এ ব্যবসাকে বড় করার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়।

অর্থাৎ ইনভেস্ট করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে টাকার প্রয়োজন পড়ে কিন্তু সবার আর্থিক অবস্থা এক না যার কারণে অনেকেরই স্বপ্ন ভেঙে যায় তাদের ডেডিকেটেড থাকার পরেও টাকার জন্য পিছিয়ে পড়তে হয়। এজন্যই বাংলাদেশে এখন উদ্যোক্তা লোন চালু হয়েছে।অনেকেই লোন নেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু তাদের জানা নেই উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায়। নিচে উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোথায় পাওয়া যায় আলোচনা করা হলো।

উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় ও কোথায় পাওয়া যায়ঃ যেহেতু উদ্যোক্তারা  উদ্যোগ নেয় ব্যবসা করার সেজন্য তারা পছন্দ করে বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাংলাদেশের সব ব্যাংকগুলোতেই সব ধরনের ব্যবসার জন্য ঋণের ব্যবস্থা আছে। বর্তমান সময়ে তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে লোন দিয়ে থাকছেন এসএমই (SME) ফাউন্ডেশন।

বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম নীতিকে পালন করে নিজেদের নিয়ম কানুনের মাধ্যমেও বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে লোন দিয়ে থাকে। তবে উদ্যোক্তা লোন সবাই পাবে না। যেসব নতুন উদ্যোক্তা SME ফাউন্ডেশন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে বিভিন্ন ব্যবসার উপর তারা পাবেন এই ঋণ। উদ্যোক্তার ঋণের জন্য আপনাকে কোন জামানতের দরকার নেই।
এরই ঋণ নেওয়ার জন্য আপনাকে ঢাকায় যেতে হবে না। আপনার নিজ জেলায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকেই আপনি এ লোন নিতে পারবেন। SME ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রায় ১০০কোটি টাকা ঋণ প্রদান করবেন এজন্য তারা প্রায় ১১টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছেন। SME ফাউন্ডেশন এর মধ্যে  ৫ টি ব্যাংকের সাথে চুক্তির কাজ শেষ করেছে।

সে ব্যাংকগুলো হল-ব্রাক ব্যাংক, আইডিএলসি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়াম ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক। আর বাকি ছয়টি ব্যাংকে সাথে সুখের কাজ চলমান অবস্থায় রয়েছে। SME ফাউন্ডেশন যে ১০০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করবে এর মধ্য থেকে ৩০ শতাংশ ঋণ নারী উদ্যোক্তাদের দেওয়া হবে।

উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার যোগ্যতাঃ উদ্যোক্তা লোন পাওয়ার জন্য আপনার নিচের কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে

  • ঋণের জন্য আবেদনকারী কে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • ঋণ আবেদনকারীর একজন গ্যারান্টার এর প্রয়োজন হবে এবং তাদের উভয়ের জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে।
  • ঋণ আবেদনকারীর ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি লাগবে।
  • ঋণ আবেদনকারীর নিজের নামে টিন নম্বর লাগবে।
  • ইলেকট্রিক বিল এর ফটোকপি লাগবে।
  • ভ্যাট ও ট্যাক্সের সার্টিফিকেট লাগবে।

এছাড়াও আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে তা আপনাকে জানাবে আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিবেন।

নারী উদ্যোক্তা লোন

পুরো বিশ্বেই বর্তমান সময়ে নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশেও এখন প্রতিনিয়ত নারী উদ্যোক্তারা কাজ করে যাচ্ছে। তারা তাদের মেধাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে ছোট ব্যবসার মধ্য দিয়ে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কম সুদে ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা তৈরি করেছে।
শুধু নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৫% সুদে ঋণ প্রদান করবে। আগামী বছরের মধ্যেই SME প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তাদের ১৫% ঋণ বিতরণের জন্য উদ্বেগ নেওয়া হয়েছে।

সহজ কিস্তিতে লোন

সহজ কিস্তিতে লোন এক ধরনের আর্থিক সুবিধা কে বঝাই। ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আপনাকে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ দিতে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সহজ কিস্তিতে সেটির পরিশোধ নেবে সেটিকে বলে সহজ কিস্তিতে লোন। বাংলাদেশে দিন দিন সহজ কিস্তিতে লোন নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এজন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো এদিকে জোর দিয়েছে।

উপসংহারঃ উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় - নারী উদ্যোক্তা লোন

আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি  উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় বা কারা দিয়ে থাকে এ লোন। এবং এ লোনটি পেতে আপনাকে কিসের উপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে সে সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেয়েছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেকার তরুণ-তরুণীদের আয়ের জন্য বা ব্যবসা করে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এ ধরনের সিস্টেম চালু করেছে।

তাই আপনি যদি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হন আর আপনার ব্যবসাকে দাঁড় করাতে চান তাহলে আপনার জন্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি । আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url