শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি আপনার ফিটনেস নিয়ে খুব চিন্তিত? শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় খুঁজতেছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় ও কি খেলে শরীর ফিট থাকে। শারীরিকভাবে ফিটনেস আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চলুন আজকে জেনে নিই শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়।
শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়
সঠিক লাইফ স্টাইল হল আজীবন সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। আপনার ডায়েট এ আনুন কিছু পরিবর্তন ও ব্যায়াম। আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে আমাদের শরীরকে ফিট রাখা যায়। এজন্য আমরা অনেকের কাছে পরামর্শ চাই ও অনেকেই ডাক্তারের কাছে যাই। কারণ আমরা সবাই জানি একটি সুস্থ শরীর আমাদের মন ও মস্তিষ্ক দুইটাই ভালো রাখে।

পেজ সূচিপত্রঃ শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়

  • ভূমিকা
  • শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়
  • কি খেলে শরীর ফিট থাকে
  • শরীর ও মন সুস্থ রাখার উপায়
  • বডি ফিটনেস ঠিক রাখার উপায়
  • শরীর মোটা করার উপায়
  • উপসংহার

ভূমিকা

শরীর ফিট রাখার জন্য আমরা অনেক ধরনের উপায় ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কোন কিছুতেই যেন শরীরকে ফিট রাখতে পারছিনা। তাইতো শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় সম্পর্কে বলবো আজকের এই আর্টিকেলে। এছাড়াও এখানে আলোচনা করা হবে ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায় গুলো কি কি বা কিভাবে ফিট রাখা যায় ছেলেদের শরীর ও মেয়েদের শরীর।

কি খেলে শরীর ফিট থাকবে? বা কোন খাবার গুলো নিয়মিত খেলে শরীরকে ফিট রাখা যায়। শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য কি করা প্রয়োজন এই সমস্ত কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে আজকের এই আর্টিকেলে।

শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়

প্রত্যেক মানুষকে তো আর ফিট বলা যায় না। যে ব্যক্তিটি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ তাকেই ফিট বলা যায়। আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আমরা শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানাবো। চলুন জেনে নিই।

পর্যাপ্ত পানিঃ পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীর ফিট রাখতে পারেন। কারণ, আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পানির খুব প্রয়োজন। নানা কারণে আমাদের পানি খাওয়া খুব কম হয়। আপনি কাজের ফাঁকে একটু করে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে খালি পেটে পানি খাবেন।

পানি আমাদের হজমের সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও পেশিকে শক্ত করে এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। আপনি পানির পাশাপাশি ডাবের পানি ও ফলের রস খেতে পারেন। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া এক নম্বর।

রাতের ঘুমঃ আজকাল আমরা ইউটিউব,ফেসবুকিং ও চ্যাটিং করে রাতের অর্ধেকটা সময় পার করে দিই। এটি আপনার শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। রাতের খাবারটি তাড়াতাড়ি খেয়ে নেবেন। ঘুমাতে যাবার আগে খাবার খাবেন না। ঘুমানোর আগ মুহূর্তে এক গ্লাস গরম দুধ খান এতে আপনার রাতে ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে।

শোয়ার ঘর লাইট বন্ধ করে দিয়ে ঘরটি অন্ধকার রাখুন। সারাদিনই সমস্ত ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলবেন। অপ্রয়োজনীয় চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। এবং একটি টানা ঘুম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। একটি সুন্দর ঘুম আপনার শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এটি দুই নম্বর।
সঠিক খাবারঃ আমরা সারা দিনে অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু দেখা যায় খাদ্য তালিকায় সবজি থাকে না। তাই খাবার তালিকায় অন্তত চার থেকে পাঁচ ধরনের সবজি রাখুন। পরিমাণ মতো শাকসবজি খেলে তা অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে যেমন অগ্ন্যাশয়, মূত্রশয়, জরায়ু, স্তন, খাদ্য নালী ক্যান্সার ইত্যাদি।

এবং কিছু খাবার আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিন যেমন চিপস, ঠান্ডা পানি, চকলেট অর্থাৎ যেগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার। এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের কোন পুষ্টি যোগায় না বরং শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি বাড়িয়ে দেই। অতিরিক্ত চা এবং কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে এটি তিন নম্বর।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ আজকাল খাবারে অনিয়মের কারণে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। শরীরে জমছে অতিরিক্ত মেদ। যদি আপনার শরীরে অতিরিক্ত ওজন মেদ থাকে তাহলে সেটি কমানোর চেষ্টা করুন। ওজন কমানোর জন্য যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকুন। ওজন কমানো একাধিক উপায় থাকলেও আপনার জন্য যেটি সঠিক সে নিয়মটি বেছে নিবেন। প্রয়োজন হলে আপনি একজন ভালো ডায়েটিসিয়ান এর কাছে যেতে পারেন। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে এটি চার নম্বর।

ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের নিজের শরীরকে সময় দিতে পারি না যার ফলে শরীরে বাধে একাধিক সমস্যা। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে যদি নির্দিষ্ট একটি টাইমে ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীর বার্ধক্য ঠেকাতে পারে।

এটি আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ ও কলেজ করার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ব্যায়াম করার জন্য খুঁজে নিতে পারেন আপনার বাড়ির চারপাশ। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটুন। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে এটি পাঁচ নম্বর।

মেডিটেশনঃ মেডিটেশন অর্থ ধ্যান। প্রতিদিন মেডিটেশনের মাধ্যমে আপনি দীর্ঘস্থায়ী উপকার পেতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার মানসিক চাপ কমবে ও কাজে এনার্জি এনে দেই। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে এটি ছয় নম্বর।

অ্যালকোহলঃ আমাদের শরীরে টক্সেনে পরিমাণ বাড়িয়ে দেই এই অ্যালকোহল। যার ফলে আমাদের হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস এর গতি অনিয়মিত হয়ে পড়ে, এবং লিভারের ক্ষতি করে। এছাড়াও অতিরিক্ত অ্যালকোহল আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে, ঘুমের অনিয়ম ও শরীরে ক্যান্সার এছাড়াও বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে এটি সাত নম্বর।

বাইরের খাবারঃ যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আমরা আমাদের ব্যস্ত জীবনে খুব সহজ সমাধান খোঁজার চেষ্টা করি। তাই বাইরে যেকোন জায়গা থেকেই খাবার খেয়ে থাকি যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কষ্ট হলেও বাড়িতে খাবার রান্না করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে খুব সিম্পল খাবার খেতে পারেন। প্রয়োজনে প্রতিদিনে খাবারে একটু মেনু তৈরি করুন যাতে অতিরিক্ত ফ্যাট আপনার শরীরে পৌঁছাতে না পারে। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে এটি আট নম্বর।

তামাকজাতীয় জিনিসঃ ধূমপান বন্ধ করুন। ধূমপান আপনার জন্য ক্ষতিকর এটি আপনি যেন প্রতিদিন এটি গ্রহণ করছেন। আপনি কিন্তু ধূমপান করার আগেই প্যাকেটের গায়ে পড়ে থাকেন " ধূমপান ক্যান্সারের কারণ" এটা জানার পরেও আপনি নিয়মিত ধূমপান করছেন। ধূমপানের মাধ্যমে আপনি শুধু নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না এতে আপনার পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আপনার আদরের সন্তানটি আপনার কাছ থেকেই ধূমপান এর নেশা গ্রহণ করবে। তাই ধূমপান ছাড়ুন এটি ছাড়া কষ্টকর হলে আপনি কাউন্সিলিং এর সাহায্য নিতে পারেন। যেকোনো ভাবে তামাক জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকুন।শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে এটি নয় নম্বর।

বাইরে ঘুরতে যানঃ আপনি যদি প্রতিদিন একঘিয়ামি দিন কাটান তাহলে আপনার জীবন ধারার পরিবর্তন করুন। কারণ মাঝে মাঝে প্রয়োজন পড়ে নিজেকে একটু সময় দেওয়ার যার ফলে আপনার শরীরে পেশি গুলো নড়াচড়া করবে। অর্থাৎ একটানা কাজ না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় এর মধ্যে এটি দশ নম্বর।

কি খেলে শরীর ফিট থাকে

কি খেলে শরীর ফিট থাকে এটা আমরা অনেকেই জানিনা। শরীর ফিট রাখতে হলে আপনাকে ও সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। মানুষের মত খাবার পারে আপনার শরীর ফিট রাখতে। আমরা অনেক খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু সব খাবার আমাদের শরীরের জন্য উপকারী না কিছু খাবার আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী চলুন জেনে নিই শরীর ফিট রাখার খাবারগুলো।
বাদামঃ বাদাম আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। বাদামের মধ্যে রয়েছে কাজু বাদাম, ওয়ালনাট ইত্যাদি। দোকানের প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার এড়িয়ে চলুন।

পানিঃ আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রধান উপাদান হিসেবে পানি রাখুন। কারণ আমাদের দেহের চার ভাগের ৩ ভাগ পানি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন গড়.৪-৫ লিটার পানি খাওয়া উচিত।

প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ আপনার খাবার এ প্রতিদিন প্রোটিন যুক্ত খাবার রাখুন। প্রোটিন খাবারের মধ্যে রয়েছে ডাল, দুধ, মুরগি, ছানা, মাছ, দই ইত্যাদি।

শরীর ও মন সুস্থ রাখার উপায়

আমরা অনেকেই ভাবি শারীরিকভাবে সুস্থতায় হয়তো আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু কথাটি একেবারেই ভিত্তিহীন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাক আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। প্রতিদিন জীবনযাপনের মাধ্যমে আপনাকে বেছে নিতে হবে একটি স্বাস্থ্যসম্মত লাইফস্টাইল। শরীর ও মন একটির সাথে আরেকটি সম্পর্কযুক্ত।

আপনার মন যদি খারাপ থাকে তাহলে তার প্রভাব পড়ে আপনার শরীরের ওপর, আবার যদি আপনার শরীর খারাপ থাকে তাহলে তার প্রভাব পড়ে মনের উপর। আমার মনকে দেখতে পায় না কিন্তু তা অনুভব করতে পারি তাই এটার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। চলুন জেনে নিই আজকে শরীর ও মন সুস্থ রাখার উপায়
মানসিক চাপ কমানঃ জীবনে উথান-পতন থাকবেই। জীবন কখনো একই ভাবে চলবেনা। কখনো হাসি কখনো আনন্দ আবার কখনো দুশ্চিন্তা আসবে। যেকোনো বিষয়ে আপনি ভেঙে পড়বেন না। নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত করে গড়ে তুলুন। পজেটিভ চিন্তাভাবনা করবেন তাহলে দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে।

প্রার্থনা করুনঃ আপনি আপনার ধর্ম সঠিকভাবে পালন করুন। ধর্মীয় বিশ্বাসের রয়েছে শান্তি। আপনি নিয়মিত ধর্ম পালন করলে মানসিকভাবে শান্তি পাবেন। এতে আপনার মন ও শরীর দুইটাই ভালো থাকবে।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজন। সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য প্রতিদিন পর্যন্ত পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের কারণে আপনার মন ভালো থাকবে কাজে মনোযোগ বসবে এবং দিনটি খুব সুন্দর যাবে। অপরদিকে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে বা রাত জাগলে আপনার শরীর ও মন কখনো ভালো থাকবে না।

উপকারঃ সবসময় নিজেকে নিয়ে ভাববেন না। আপনার আশেপাশে প্রিয় মানুষগুলো কথা বলুন। উনাদের বিপদে আপনি সাহায্য করুন এতে দেখবেন আপনি মানসিকভাবে অনেকটা শান্তি পাবেন।

স্বাস্থ্যকর খাবারঃ আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো প্রতিদিন খাবেন। স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে আসতে পারে আপনার একটি সুস্বাস্থ্য। আপনার শরীরের প্রয়োজনে পুষ্টি আসে আপনার প্রতিদিনের খাবার থেকে। আর এই পুষ্টিকর খাবার আপনার শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য।

বডি ফিটনেস ঠিক রাখার উপায়

বডি ফিটনেস ঠিক রাখার উপায় গুলো নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন। স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন। এবং ব্যায়াম করুন।
  • কতটুকু খাবার খাচ্ছেন তা খেয়াল করুন। খাবার খাওয়ার সময় টিভি দেখা যাবে না কারণ এ সময় আপনি কতটুকু খাবার খাচ্ছেন এবং খাবারটা কিভাবে গ্রহণ করছেন সেদিকে কোন খেয়াল থাকেনা।
  • খাবার খাওয়ার জন্য ছোট পাত্র নির্ধারণ করুন। খাবার দিনে একাধিক খাবেন কিন্তু তা অল্প করে একেবারে বেশি পরিমাণে খাবার খাবেন না।
  • খাবার খাওয়ার আগে পানি খাবেন এবং খাবার খাওয়ার পরপরই পানি খাবেন না কমপক্ষে ৩০ মিনিট পার হওয়ার পর পানি খাবেন। পানি কিন্তু আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ক্ষুধা না থাকলে খাবার খাবেন না। আমরা অনেকেই খেতে অনেক ভালোবাসি তাই খাবার সামনে পেলে খেয়ে ফেলি। এই অভ্যাসটা দূর করুন।
  • খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাবেন। এটি আপনার শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমাতে দিবেনা।

শরীর মোটা করার উপায়

আমরা অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন্তিত। কারণ অতিরিক্ত ওজন আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে তেমনি ভাবে আপনি যদি অনেক চিকন হন সেটিও আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করে। যারা চিকন নিয়ে অনেক চিন্তিত আজকের পোস্টটি তাদের জন্য। চলুন জেনে নিই শরীর মোটা করার উপায়

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারঃ আমরা অনেকেই জানি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার আমাদের শরীরে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্র যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখবেন। কার্বোহাইড্রেট এর প্রধান উৎস হলো রুটি ও ভাত। সকালে রুটি ও দুপুরে এবং রাতে ভাত খাবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করবেন না কারণ এটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্ল্যাট বাড়াতে সাহায্য করবে।

টেনশন থেকে দূরে থাকুনঃ অতিরিক্ত টেনশন আমাদের শরীরকে খারাপ করে দেয়। সকল সমস্যার বড় কারণ হলো টেনশন। আমরা প্রায় প্রতিটি সময়ে টেনশনে থাকি। কিন্তু চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব টেনশন মুক্ত থাকা।

মধু খানঃ প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কিছু খাবার খেতে পারেন যাতে রয়েছে ওদিক ক্যালরি ও পুষ্টি। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন মিস করে খাবেন। এটি পুরো রাত শরীরের ক্যালরি বাড়ানোর কাজ করে যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হয়।

চকলেটঃ বাইরের প্রক্রিয়াজের খাবার খাওয়া উচিত না কিন্তু আপনি যদি ওজন বানাতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে চকলেট খেতে পারেন। এছাড়াও বেশ কয়েক ধরনের খাবার রয়েছে যেমন বার্গার, আইসক্রিম ও পেজটি ইত্যাদি এই খাবারগুলো ওজন বৃদ্ধিতে কাজ করে। যেহেতু এই খাবারগুলো ফ্যাট রয়েছে তাই এগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না এটা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

উপসংহারঃ শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়

আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি ছিল শরী ফিট রাখার 10 টি উপায়। কারণ আমরা জানি " স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল" তাই আমাদের উচিত আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখা এজন্য প্রয়োজন কিছু টিপস এর। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ওপরে শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি।আশা করছি এই পোস্টটি আপনাদের কাজে আসবে। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

চাঁপাই আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url